নিজস্ব প্রতিবেদক :: পটুয়াখালীতে প্রধান শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা!
পটুয়াখালী জেলা মহিলা আ,লীগ নেত্রী ও প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক মেহেরুন্নেসা লিমা বেগমকে হত্যার চেষ্টায় এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে পিটিয়ে তার দু পা ও হাত ভেঙ্গে দিয়েছে দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীরা।
গত ২২ জুন শনিবার বিকেল সোয়া ৫ টার দিকে সদর উপজেলার লোহালিয়ার ইদরাকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা আহতকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
লিমা ওই এলাকার ডাক্তার আব্দুর রহমানের মেয়ে ও পটুয়াখালী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও লোহালিয়া প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও একজন সফল নারী উদ্যোক্তা।
লিমার বোন শিবা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমার বাবার পৈত্রিক ওয়ারিশ জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ আমার বাবার সৎ মামা আব্দুল মোতালেব সিকদারদের সাথে বিরোধ চলে আসছে।
আমাদের জমি দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক জবরদখল করার চেষ্টা চালায় আব্দুল মোতালেব গং।
বিষয়টি নিয়ে আমরা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সব প্রশাসনকে জানালে তারা আমাদের প্রাপ্য জমি বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু ওই জমিতে হঠাৎ আব্দুল মোতালেবের নেতৃত্বে তার সহযোগী রাসেল , লিপু ,পিকু জোরপূর্বক সীমানায় স্থাপন করে।
সীমানা স্থাপনের পরের দিন রাতের আঁধারে কে বা কারা ঐ সীমানা উপড়ে ফেলে।
প্রতিপক্ষরা উপরে ফেলার বিষয়টি আমাদেরকে দায়ী করে বিভিন্ন ভয়-ভীতি সহ হুমকি প্রদান করেন।
এরই জের ধরে ঘটনার দিন শনিবার বিকেল ৫ঃ৫ টার দিকে আমার বোন লিমা কে হত্যার চেষ্টায় আব্দুল মোতালেবের নেতৃত্বে রাসেল লিপু ও পিকু সহ ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসী হঠাৎ অতর্কিত হামলা চালায়।
লিমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
লিমার দুই পা এবং হাত ভাঙ্গা সহ হাড় কাটা জখম হয়।
আমার বোন লিমা এখন মৃত্যুর সাথে কাজরাচ্ছে। এমনকি লিমাকে ঘর থেকে টেনে নিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন চালায় প্রতিপক্ষরা।
এ বিষয় পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জসিম উদ্দিন জানান, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।