ঢাকাশুক্রবার , ৫ জুলাই ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কাউখালীতে অস্থায়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে : নেই চিকিৎসক নেই বেড, রোগীদের দুর্ভোগ চরমে

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জুলাই ৫, ২০২৪ ৩:৪৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :: পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সংকট ও ভর্তি রোগীর বেডের অভাবে চিকিৎসা সেবায় বিঘ্ন ঘটছে।

উপজেলার প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র চিকিৎসার মাধ্যম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। অস্থায়ী ভবনে বর্তমানে চিকিৎসা সেবা চলছে। পুরাতন ভবন ভেঙ্গে পড়ার পর, ভবনটি একের পর এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের জটিলতার কারণে দীর্ঘ ১৬ বৎসরেও নতুন ভবনের কাজ না হওয়ায় বর্তমানে অস্থায়ী ভবনে চিকিৎসা, জরুরি সেবা , ভর্তি রোগ ও অফিসিয়াল কার্যকলাপ চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন মেডিকেল অফিসারের পদ থাকলেও আছে মাত্র তিনজন মেডিকেল অফিসার। তিনজন মেডিকেল অফিসার দিয়ে উপজেলার দেড় লক্ষ জনগণের চিকিৎসা সেবা মারাত্মক ঝুঁকি হয়ে পড়েছে।
তিনজন চিকিৎসকের ভিতরে মাঝে মাঝে দুই একজন চিকিৎসকরা ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণে যেতে হয় তখন মাত্র একজন চিকিৎসক দ্বারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কার্যকলাপ চলে।
ইউনিয়ন পর্যায়ে কোন মেডিকেল অফিসার নেই।
এদিকে কাউখালী হাসপাতালে বর্তমানে কোন ভবন না থাকায় অস্থায়ী হাসপাতালের ভবনে মাত্র ২০ রোগীর বেডের জায়গা রয়েছে। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় দ্বিগুণ রোগী ভর্তি থাকে ফলে এক-এক সিটে দুইজন মাঝে মাঝে তিনজন রুগিও থাকে। ফলে রোগীদের দুর্ভোগের কোন শেষ নাই।

হাসপাতালে ভর্তি রোগী হাফিজা বেগম (৪৫) বলেন, কাউখালীতে মাত্র একটি হাসপাতাল তার অবস্থা এতই নাজুক যে একই বেডে দুই জন করে রোগী থাকতে হয়। হাসপাতালে ডাক্তারও নাই, আমি অসুস্থ হইছি কোথায় চিকিৎসা নিমু কোথায় যামু, গরিব মানুষ তাই আমাগো যাওয়ার জায়গা ও নাই। বাধ্য হইয়া এখানেই থাকতে হইতাছে।
কাউখালীতে জরুরি সেবায় চিকিৎসা নিতে আসা সদর ইউনিয়নের মজিবর রহমান জানান, হাসপাতালের অবস্থা এতই করুন যে ডাক্তার নাই তার পরে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় দুই রুমের ভিতরে প্রতিদিন শত শত রোগীকে একজন, মাঝে মাঝে দুই জন ডাক্তার চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। এতে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসা নিতে ডাক্তারদেরও কষ্ট হচ্ছে রোগীদেরও কষ্ট হচ্ছে।
তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ডাক্তার সংকট ও কাউখালীর হাসপাতালের এই করুন অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি চাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স ফারজানা মুনমুন বলেন, অস্থায়ী ভবনে আমরা বর্তমানে রোগীদের চিকিৎসা সেবার কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। যখন রোগী বেশি হয় তখন এক বেড়ে একাধিক রোগীদের থাকতে দিতে হয়।জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সুজন সাহা বলেন, অস্থায়ী ভবনে ঝুঁকির ভিতরে আমরা চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ডাক্তার সংকট থাকার কারণে চিকিৎসা সেবায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। রোগীদের সীটের অভাবে অনেক সময় একই বেডে একাধিক রোগী থাকতে বাধ্য হচ্ছে।
ইতিমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য রোগীদের বেড বাড়ানোর জন্য নিজস্ব অর্থায়নে একটি টিনসেট বিল্ডিং এর ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মিজানুর রহমান বলেন, কাউখালীতে ডাক্তার সংকট রয়েছে বিষয়টা আমি অবগত আছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।