ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২২ আগস্ট ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের ঝালকাঠিতে সম্পদের পাহাড়!

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
আগস্ট ২২, ২০২৪ ১০:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের ঝালকাঠিতে সম্পদের পাহাড়!

বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠিতে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার এনটিএমসি’র সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান। শেখেরহাট ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামে মাল্টি পারপাস এগ্রো ফার্মের নামে বিশাল এলাকা জুড়ে করেছেন মাছের ঘের, গরুর খামার, নার্সারি ও বিলাসবহুল বাংলো। প্রায় ৩শ’ বিঘা জমিও কিনেছেন শেখেরহাট ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে।

এসব জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে জোর জবরদস্তির অভিযোগও রয়েছে জিয়াউল হাসানের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি রাজধানীর নিউ মার্কেট থানায় করা একটি হত্যা মামলায় খিলক্ষেত থেকে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি।

ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের বাসীন্দা এনটিএমসি’র সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান। এলাকায় তিনি তপু মিয়া নামে পরিচিত। সাবেক সরকারের আমলে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন পদে থাকাকালীন তিনি নিজ এলাকায় বিপুল পরিমান সম্পদের মালিক হয়েছেন।

অনুসন্ধান কালে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতাপপুর গ্রামে তার তাসফিয়া মালটিপারপাস এগ্রো ফার্মে জমি রয়েছে ১৫ বিঘা। একই ইউনিয়নের বংকুরা ও কতুবকাঠি মৌজায় রয়েছে কমপক্ষে ২৮৫ বিঘা জমি। এসব জমির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা। এছাড়া তার এগ্রো ফার্মে ৬টি মাছের ঘের, গরুর খামার, নার্সারি ও বিলাসবহুল বাংলো রয়েছে। গত ৫ই আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরে মূল গেটে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় এই ফার্মে দায়িত্বরতরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব সম্পদ বাদে এই ইউনিয়নেই জিয়াউল হাসানের পৈত্রিক বাড়িতে করা হয়েছে মাদ্রাসা ও সরকারি খরচে সাইক্লোন শেল্টার। এখানেও একটি বাংলো বাড়ি রয়েছে।

জিয়াউল হাসানের এগ্রো ফার্মের আশেপাশের বাসিন্দারা জানান, এই খামার করার সময় স্থানীয় জমির মালিকরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শেখেরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে জমি কিনতে গিয়ে মালিকদের জোরজবরদস্তি ও নির্যাতন করার অভিযোগও রয়েছে। র্যাবের প্রভাব খাটাতো মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান।

অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন সময় র‌্যাবের গাড়ীতেই ফার্মের মালামাল ও মাছের খাবার আনতেন জিয়াউল হাসান।

সরকারি চাকরির সুবাদে জিয়ার যে বৈধ আয় ছিলো তা দিয়ে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করা সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি স্থানীয়দের।