নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে যুবকের উপর হামলা : ইয়াসিন সজীব শুভর নামে আদালতে মামলা।
নগরীতে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে সাফায়েত ইসলাম নামে এক যুবকের উপর হামলা করেন সন্ত্রাসীরা।
এঘটনায় আহতর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ৪ জন নামধারী ও ১২জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ প্রদান করেন। মামলায় আসামিরা হলেন, আদম আলী হাজী গলি বাসিন্দা লাবু সরদারের ছেলে ইয়াসিন (২৯), ১০নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রেজাউল করিমের ছেলে রহমান শুভ, সজিব (২৫), সিয়ামসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন।
মামলা সূত্রে জানাযায়, আহত সাফায়েত ইসলাম ঢাকা থেকে বরিশালে ছেলেদের বিভিন্ন পোষাক এনে বিক্রি করতেন। সেই সুবাদে আসামীরা সাফায়েতের পরিচিত হয়ে উঠেন। এক পর্যায় আসামী ইয়াসিন,সিয়াম,সজিব ও রহমান শুভ সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন সময় পোষাক নিয়ে সাফায়েতকে টাকা দিতেন না। টাকা চাইতে গেলে উল্টো বিভিন্ন সময় হুমকি দিতেন এই চক্রটি। পরবর্তীতে সাফায়েতের ব্যবসার পুঁজি ভালো দেখে আসামীরা বিভিন্ন সময় ফোনে ও ফেসবুকে সাফায়েতের কাছে টাকা দাবি করে। টাকা সাফায়েত টাকা দিতে অস্বীকার করায় গত ৪সেপ্টেম্বর নগরীর প্রানকেন্দ্র বেলসপার্কে সাফায়েতকে একা পেয়ে অভিযুক্ত মাদক সেবী ইয়াসিন,রহমান শুভ, সজিব ও সিয়াম গ্যাংরা মিলে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শেবাচিত হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বাদী শিরিন আক্তার বলেন, আসামীরা আমার ছেলের নিকট থেকে বিভিন্ন সময়ে বাকীতে পোশাক নিয়ে টাকা পরিশোধ করতো না। আসামীরা মাদক সেবী হওয়ায় আমার ছেলে আসামীদেরকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করিতে থাকে। কিন্তু আসামীরা তাহা বুঝতে পেরে আমার ছেলে সাফায়েতকে
বিভিন্ন সময়ে ফোন দিয়া ডাকলে আমার ছেলে বিভিন্ন বাহানা দেখাইয়া আসামীদেরকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু আসামীরা বুঝতে পেরে, ঘটনার কিছুদিন পূর্বে সাফায়েতকে রাস্তায় পেয়ে বলে তুই ব্যবসা বানিজ্য করে অনেক টাকা পয়সা উপার্জন করছো। এখন আর আমাদের সাথে চলো না। তাই তোর এখানে ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে আমাদেরকে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা চাঁদা দিতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আমার ছেলেকে ফোনে ব্যক্তিগত নাম্বারে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়া বলে যে, আমার ছেলেকে মারধর করবে এবং সুযোগমত পাইলে মারধর করে চাঁদার টাকা আদায় করবে তারা । পরে গত ৪ সেপ্টেম্বর বেলসপার্কে সাফায়েতকে পেয়ে আসামীরা বলে, যে, আমাদের দাবীকৃত এক লক্ষ টাকাও দেও না এখন তোকে সুযোগ মত পাইয়াছি। এখন তোর কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করিব বলে কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী ইয়াসিন,রহমান শুভ, সিয়ামও সজিবসহ অজ্ঞাতরা মিলে লোহার রড,লাঠি পিটিয়ে ও কিল-ঘুষি মেরে মারাত্মক নীলাফুলা জখন করেন। পরে স্থানীয়দের সহয়তায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ইয়াসিন নগরীর একটি মোভিদা নাম রেস্টুরেন্টে খাবার সাপ্লাই এর কাজ করে।
এদিকে আহত সাফায়েত ইসলাম বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইয়াসিনসহ অজ্ঞাতরা মারধর করেন। পরে আমি চিৎকার দিলে আসামীরা আমার বুকের উপর উঠে দাড়িয়ে পা দিয়ে আঘাত করে। আমার সাথে থাকা ব্যবসার নগদ ২৮,৫০০ টাকা ও এ্যান্ডোরেট মোবাইল ফোন জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয় এবং আমার বাম হাতের মধ্যমা আঙ্গুলে থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্নের আংটি যাহার বর্তমান বাজার মূল্য অনুমান ৬০,০০০/- (ষাট হাজার) টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। অপরদিকে আহতর মা শিরিন আক্তার জানান, ছেলেকে মারধর করে সন্ত্রাসীরা মারধর ও ছিনতাই করে শান্ত হয় নি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করায় আমাদের স্ব-পরিবারকে হত্যা করার হুমকি দিয়ে আসছে আসামীরা।
সূত্র জানায়, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনীর সদস্য ইয়াসিন,রহমান শুভ,সজিব ও সিয়াম। মাদক থেকে শুরু করে চাদাঁবাজিসহ বেশ কিছু থানায় অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। মামলার বাদী শিরিন আক্তারের দাবি পুরো পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আসামীদের এখনই আটক করা হলে তারা যে কোন সময় হামলার চেষ্টা চালাতে পারে। তাই পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সু – দৃষ্টি কামনা করেন।