নিজস্ব প্রতিবেদক :: সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় খানাখন্দের। কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে কাদা। কোথাও সড়কের একপাশ মেরামতের জন্য খুঁড়ে ফেলে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন। দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক।
খানাখন্দে ভরা এসব স্থানে ছোট-বড়, মাঝারি ও ভারী যানবাহন চলতে গিয়ে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা, বিকল হচ্ছে গাড়ি, সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজটের। সড়কটির বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে দক্ষিণের কয়েক লাখ মানুষ।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) গৌরনদী উপজেলার ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে উজিরপুরের জয়শ্রী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে দেখা যায়, অসংখ্য স্থানে বিটুমিন (পিচ) আর পাথরের কার্পেটিং উঠে কাঁদা মাটির সড়কে পরিণত হয়েছে। সড়কটির দুই পাশে ঢালের মাঝ বরাবর শত শত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সড়ক প্রসস্থকরণের নামে কোথাও কোথাও দুই পাশে কেটে ফেলে রাখায় প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সড়কের এ অবস্থায় একটি গাড়ি আরেকটিকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারছে না। ফলে ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী বিভিন্ন ভারী যানবাহন, অটোরিকশা, ভ্যান, বড় বড় গর্তের কারণে ধীরগতিতে চলাচল করছে। আবার দুর্ঘটনাও ঘটছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এ মহাসড়কটি প্রসস্থকরণের জন্য সড়কের দুই পাশ দীর্ঘ দিন যাবত কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে করে প্রতিনিয়ত এ মহাসড়কে কোনো-না-কোনো যান দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। খানাখন্দে ভরা এ মহাসড়কে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে হেলে-দুলে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহনসহ জনসাধারণ চলাচল করছে।
ভুরঘাটা এলাকার বাসিন্দা শামীম হোসেন বলেন, এ সড়ক বেহাল অনেক দিন ধরেই। সড়কের কোথাও খানাখন্দ আবার কোথাও ঢেউয়ের মতো উঁচু-নিচু। সড়কটি একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
জয়শ্রী গ্রামের বাসিন্দা রাকিবুল ইসলামসহ একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, এ সড়কটুকু পার হতে যেমন যানবাহনের ক্ষতি হচ্ছে তেমনি সময় যাচ্ছে দ্বিগুণ। ভাঙাচোরা রাস্তার জন্য সময়মতো বাজারে পণ্য আনা নেওয়াও যায় না। তাছাড়া ভাঙাচোরা সড়কের কারণে ভ্যানচালকরা মালামাল নিয়ে যেতে চান না। গেলেও বেশি ভাড়া দিতে হয়।
পরিবহনগুলোর একাধিক চালকরা জানান, মালবাহী পরিবহন, যাত্রীবাহী পরিবহনের চাকা গর্তের মধ্যে পড়ে ইঞ্জিন ও টায়ার-টিউবে সমস্যা হচ্ছে। এতে প্রতিটি ট্রিপ শেষে কোনো না কোনো যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি যাত্রীদেরও চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তাছাড়া একটু বৃষ্টি নামলেই মহাসড়কের গর্তে পানি জমে থাকে। ফলে ঠিকমতো গর্ত দেখা যায় না। ভুক্তভোগীরা গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, গত জুন মাস থেকে চলমান বৃষ্টি ও কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাস্তার বেশ ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিপাত শেষ হলেই আবার সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।