ক্রিয়া ডেস্ক :: নেইমারের লক্ষ্য ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে নামা এবং দেশকে সাফল্য এনে দেওয়া
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা নেইমার জুনিয়র ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য দলে ফেরার এবং ‘সেলেসাও’-কে নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি ফরাসি গণমাধ্যম ‘আরএমসি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তার লক্ষ্য চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে নামা এবং দেশকে সাফল্য এনে দেওয়া।
নেইমারের ফুটবল প্রতিভা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। সান্তোস, বার্সেলোনা এবং প্যারিস সেন্ট-জার্মেইতে তার উজ্জ্বল ক্যারিয়ার ফুটবল বিশ্বকে মুগ্ধ করেছে। তবে আল-হিলালে তিনি নিজের সেরা ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি। দীর্ঘদিনের চোটের কারণে তার ‘জোগা বনিতো’-র জাদু উপভোগ করতে পারেননি ভক্তরা। সম্প্রতি হ্যামস্ট্রিং ছিঁড়ে যাওয়ার পর পুনরুদ্ধারের পথে আছেন তিনি।
নেইমারের বর্তমান ক্লাব আল-হিলালের সঙ্গে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে। তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, তিনি শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে নতুন ক্লাবে যোগ দিতে পারেন। সান্তোসে ফিরে যাওয়া কিংবা মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে ইন্টার মায়ামিতে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। বার্সেলোনার ‘এমএসএন’ জুটি আবারও জড়ো হলে ফুটবল বিশ্বে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।
তবে ক্লাব ফুটবলের পাশাপাশি নেইমারের নজর এখন ২০২৬ বিশ্বকাপের দিকে। তিনি চান ব্রাজিলকে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বকাপে সাফল্য এনে দিতে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ প্রতিটি খেলোয়াড়ের স্বপ্ন। আমি তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছি এবং চতুর্থবারের মতো খেলতে চাই। এখন আমাকে ফিটনেস ফিরে পেতে হবে এবং ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে।’
নেইমার ইতোমধ্যে বিশ্বকাপে ১৩ ম্যাচে ৮টি গোল এবং ৪টি অ্যাসিস্ট করেছেন। কিন্তু তার বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারটি নানা চ্যালেঞ্জে পূর্ণ। ২০১৪ সালে পিঠের চোটের কারণে জার্মানির বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি। সেই ম্যাচে ব্রাজিলের ১-৭ গোলের বিপর্যয় এখনো স্মরণীয়। ২০১৮ বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় ব্রাজিল। ২০২২ বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে কোয়ার্টার ফাইনালেই থামে নেইমারের স্বপ্ন।
ব্রাজিলের হয়ে ২০১৩ সালে কনফেডারেশন কাপ এবং ২০১৬ অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতেছেন নেইমার। তবে ২০২১ কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে পরাজিত হন তিনি। তাই ২০২৬ বিশ্বকাপকে ‘শেষ নাচ’ হিসেবে দেখছেন নেইমার, যেখানে তিনি দেশকে বিশ্বসেরার আসনে বসাতে চান।
৩৪ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলতে নামলে নেইমার যদি তার সেরা ফর্মে ফিরতে পারেন, তাহলে ‘সেলেসাও’-এর জন্য তিনি হতে পারেন অমূল্য সম্পদ। এখন দেখার বিষয়, তার এই স্বপ্ন সফল হয় কিনা এবং ব্রাজিল তাকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেয় কিনা।