ঢাকামঙ্গলবার , ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশালে প্লান অনুমোদনে জটি*লতা : নগর ভবনের সামনে নাগরিক সমা*বেশ ও বিক্ষোভ-মিছিল

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জানুয়ারি ১৪, ২০২৫ ১:২০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) কর্তৃক প্লান অনুমোদনে জটিলতা ও হয়রানির প্রতিবাদে নাগরিক সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় সদররোড অশ্বিনী কুমার টাউনহলের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বরিশাল নাগরিক অধিকার আন্দোলন। এতে বক্তব্য রাখেন বরিশাল চেম্বার অব বরিশালের সভাপতি এবায়েদুল হক চাঁন, বরিশাল নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মোল্লা, সিমেন্ট ও লৌহজাত দ্রব্য ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হীরা, গণফোরাম কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট হিরণ কুমার দাস, জাতীয় পার্টির নেতা বশির আহমেদ ঝুনু, প্রকৌশলী আকতার হোসেন, গোপাল চন্দ্র সাহা, প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর নিয়াজ মাহমুদ বেগ প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন নগরবাসী প্রায় ২ বছর ধরে একতলা থেকে ৬ তলা পর্যন্ত কিছু প্লান ব্যতিরেকে বহুতল ভবনের প্লান অনুমোদন পাচ্ছে না। ফলে হাজার হাজার নির্মাণ ইচ্ছুক জমির মালিক, নির্মাণ শ্রমিক, ব্যবসায়ী, ইঞ্জিনিয়ার ও আর্কিটেক্টরা নানাবিধ ক্ষতির সম্মুখীন এবং বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। ২০২০ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও অকার্যকর মাষ্টার প্লানের অজুহাত দিয়ে এলইউসি দেয়ার ক্ষেত্রে রেড জোন, শিল্পাঞ্চল জোন, কৃষি জোন, ইকোপার্ক জোন দেখিয়ে জনগনকে হয়রানি করা হচ্ছে। বক্তারা বলেন, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-১৯৯৬ এর আওতায় প্লান অনুমোদনের কথা বললেও কর্তৃপক্ষ কেবল মাত্র রাস্তার ক্ষেত্রে উক্ত বিধিমালা অনুসরণ করে, কিন্তু প্লান পাসের ফি সহ অন্যান্য বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের ৪র্থ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত বরিশাল ইমারত নির্মাণ নীতিমালা-২০২০ অনুসরণ করছেন।

আমরা এ বিষয়গুলো সমাধান কল্পে বরিশাল ইমারত নির্মাণ নীতিমালা-২০২০ পুনর্বহাল করার দাবি জানাচ্ছি। এরআগে ‘বরিশাল নাগরিক অধিকার অন্দোলন’ এর ব্যানারে গত ২৯ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সদস্য সচিব প্রকৌশলী মো. আবু সালেহ বলেছিলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে প্লান অনুমোদনে জটিলতা থাকায় হাজার হাজার নির্মাণ শ্রমিক, জমির মালিক, ব্যবসায়ী, ইঞ্জিনিয়ার ও আর্কিটেক্ট সহ নানা পেশার মানুষ অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। গত ২৪ নভেম্বর সিটি কর্পোরেশন প্রশাসক বরাবর ১১ দফা দাবি উল্লেখ করে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধি সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার আলোচনা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। মানববন্ধন শেষে একটি মিছিল বের করা হয়। যা নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগর ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় নগরভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেন মিছিলকারীরা।