ঢাকাশুক্রবার , ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পটুয়াখালী হাসপাতালে দা.লাল সি.ন্ডি.কেট : ১০ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়!

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জানুয়ারি ৩১, ২০২৫ ১১:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: পটুয়াখালী হাসপাতালে দালাল সিন্ডিকেট : সরকার নির্ধারিত ১০ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়!

পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের বহির্বিভাগে সরকার নির্ধারিত ১০ টাকার টিকিট সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ২০০ টাকায় বিক্রি হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এতে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা দরিদ্র ও সাধারণ রোগীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টারের সামনে সকাল থেকেই রোগীদের দীর্ঘ লাইন থাকলেও, সিন্ডিকেটের সদস্যরা আগেই টিকিট সংগ্রহ করে বাইরে নিয়ে যায়। এরপর রোগীদের বলা হয়, “টিকিট শেষ!” অথচ হাসপাতালের বাইরে কিছু ব্যক্তি সেই টিকিটই ২০০ টাকায় বিক্রির প্রস্তাব দিচ্ছেন।

সিন্ডিকেটের টিকিট ব্যবসা প্রমাণের জন্য একজনকে রোগী সাজিয়ে পাঠানো হয়। দেখা যায়, ২০০ টাকা দিতেই এক সিন্ডিকেট সদস্য সহজেই একটি টিকিট বের করে দেন। হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মচারী, টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী এবং বাইরের দালালরা মিলে এই সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জিয়াউল করিম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় কম রোগী দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। এই সুযোগে সিন্ডিকেট প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০টি টিকিট ইস্যু করে, যার মধ্যে মাত্র ১০-১২টি টিকিট প্রকৃত দরিদ্র রোগীদের দেওয়া হয়। বাকি ৩৮-৪০টি টিকিট সিন্ডিকেটের সদস্যরা সংগ্রহ করে এবং পরে ২০০ টাকায় বিক্রি করে।

মাদারবুনিয়া এলাকার রোগী ইমাম হাসান তিনি বলেন, সকাল ৭টায় এসেও টিকিট পেলাম না, এর আগেও তিনদিন এসে ফিরে গেছি। অথচ বাইরে ২০০ টাকায় টিকিট বিক্রি হচ্ছে। গরিব মানুষ, ভিজিট দিয়ে ডাক্তার দেখাতে পারি না, ১০ টাকার টিকিট কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু টাকা না থাকলে চিকিৎসাই পাওয়া যায় না!’

এই অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সরকারি হাসপাতালগুলোতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার কথা থাকলেও পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে টিকিট বাণিজ্য চরম আকার ধারণ করেছে। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ না হলে সাধারণ রোগীদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে গরিব মানুষের জন্য হাসপাতালের দরজা কার্যত বন্ধই থেকে যাবে।