ঢাকাশুক্রবার , ২৩ মে ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ড্রা ই ভা র পি*স্ত*ল রায়হান স্বরাষ্ট্রতে এখনও ব হা ল

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
মে ২৩, ২০২৫ ৮:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

এবি সিদ্দীক ভূইঁয়া :: স্বৈরাচার আমলে আসা ফায়ারের ড্রাইভার স্বৈরাচার আমলের তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার বতর্মানে ওসডি হাবিবুর রহমানের মাধ্যমে তদবির করে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়এ গাড়ি চালক হিসেবে সংযুক্ত আছেন।

পূর্বে সচিবালয়ের অভ্যন্তরীণে, পিস্তল সহ সচিবালের নিরাপত্তা কর্মকর্তা
তাকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেন। তারপর তৎকালীন সময়ে, আওয়ামী লীগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে, থানা থেকে বেরিয়ে আসেন এবং ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি নেন।
অব্যাহতি নেওয়ার পর তিনি কিছুদিন বিভিন্ন স্টেশনে ডিউটি করতেন। বিভিন্ন স্টেশনে অফিসারের সাথে উনি খারাপ ব্যবহার করতেন। তিনি বলতেন আপনারা কে? আমি কি আপনাদেরকে ভয় পাই।ড্রাইভার রায়হান তার অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতেন না। ফায়ার সার্ভিস এর স্টেশন অফিসার হতে শুরু করে ডিডি পর্যন্ত সবাইকে বদলীকরে দেবে বলে ভয় দেখাইতেন। স্টেশনে ঠিক মত ডিউটি করতেন না প্রায় সময় অনুপস্থিত ছিলেন। তারপর সে অনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে,
আওয়ামীলীগ এর বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে তদবির করেন। তৎকালীন ডিরেক্টর ফায়ার সার্ভিস হাবিবুর রহমানকে ম্যানেজ করে, সুরক্ষা সেবা বিভাগ,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গাড়ি চালানোর জন্য ড্রাইভার হিসেবে, সংযুক্ত হন।যেটা রিকুজিশন লেখা আছে হাবিবুর রহমানের অনুরোধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে সংযুক্ত হয়ে
আসছেন। তখন এই ড্রাইভার দ্বিতীয় বারের মাথায়, আবারো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্য সংযুক্ত হন । এত রিপোর্ট হওয়া সত্ত্বেও পিস্তল নিয়ে ধরা খাওয়া সত্বেও। আওয়ামী লীগের পরিচয় দিয়ে সবসময় চলতেন। ফায়ারের ড্রাইভার রায়হান এখনো বহাল রয়েছেন,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়এ তারপরও থেমে নেই, বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের, নিয়োগ বদলি টেন্ডার বাণিজ্য,ইত্যাদি বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন। বর্তমানে উল্লেখ্য বিষয় যে, ফায়ারের উপ-পরিচালক সালাউদ্দিনকে উনি ডিডি এডমিন বানানোর জন্য জোরালো তদবির করে যাচ্ছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন অফিসারের নাম বাঙ্গিয়ে খাচ্ছেন। ড্রাইভার রায়হান বলতেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসার ওনাকে নির্দেশ দিছেন, ফায়ার সার্ভিসের কাকে কোথায় কোন জায়গায় বদলি করতে হবে সে বিষয়ে। এবং বিভিন্ন অফিসার কে হুমকি ধামকি দিয়েছেন, কথা না শুনলে এই জায়গায় ওই জায়গায় বদলি করে দিবেন। ড্রাইভার রায়হান এবং ইন্সপেক্টর সারওয়ার বিভিন্ন অফিসারদের বদলীর বিষয়ে আলোচনা করছেন।তারা এ দুইজন বলেন মন্ত্রণালয় তাই করবেন । তাই অনেক অফিসারগন আতঙ্ক হয়ে পড়েছেন।সে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে গিয়ে সকল অফিসারদেরকে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন।তাকে পয়সা না দিলে টাকা না দিলে সে বদলি করে দিবে । নাম বলতে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন অফিসারের নাম ভাঙ্গিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে।
এবং বর্তমানে এসে ফায়ার সার্ভিসের অফিসারদেরকে ড্রাইভার রায়হান বলে, দেখেন আমার কথাতে সচিব ড্রাইভার নিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংযুক্ত করেছে ড্রাইভার আসলাম কে।

রাইহান এর অনৈতিক কাজের সহযোগী, ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর
সারোয়ার হোসেন।
স্বৈরাচার আমলের সাবেক ডিজির ব্রিগেডিয়ার অবসরপ্রাপ্ত আলি আহমেদ এর ভাগিনা বলে পরিচিত। তাকে নিয়ে ড্রাইভার রায়হান অনৈতিক সুবিধায় লিপ্ত হয়ে পড়েছেন।
সম্প্রতি তিনি সেটাও বলতেছেন, উনার পছন্দের মত নাকি ডিরেক্টর ফায়ার সার্ভিস উনি আসছেন। তৌহিদুল ইসলাম।
এবং উনি বিভিন্ন জায়গায় এটাও বলতেছেন, ওহিদুল ইসলামকে ডিডি এডমিন নাকি ড্রাইভার রায়হান ইন্সপেক্টর সারোয়ার বানিয়েছেন,তাদের কথা শুনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক উদ্বোধন ও কর্মকর্তা। তাদের এই কথাতে সবাই আতঙ্ক হয়ে পড়েছেন। কাকে কোন জায়গায় বদলি করে দেয়। সে বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আতঙ্ক এ ড্রাইভার রায়হান আর ইন্সপেক্টর সারোয়ারের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে। তিনি সবসময় বলে আসতেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। তাকে কাজ করে দিচ্ছে। সে সব সময় মিথ্যাচার করে,
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে খাচ্ছেন। ড্রাইভার রাইহান তার দাম্পত্য জীবনে তিনি তিনটি বিয়ে করেছেন।
প্রথম বিয়ে,অস্ত্র টিকিয়ে মেয়েকে তুলে এনেছেন। তারপর বিভিন্ন ব্ল্যাকমেইল করে বিবাহে রাজি করিয়াছেন। তখন প্রথম বউ রেখে আবার দ্বিতীয় বিয়ে করেন। আবার আবার তৃতীয় বিয়ে করেন। শুধু এখানে থেমে নেই, তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেয়েদের সাথে অনৈতিক কাজ করেন,গাড়ির ভিতরে।
কেউ কিছু বললেই তাকে দূরবর্তী স্থানে বদলি করে দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়।
ফায়ার সার্ভিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী আশা-আকাঙ্ক্ষা।
ছাত্র জনতার মহান উদ্দেশ্য কে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য।
জুলাই আগস্ট এর গণঅভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য।এরকম স্বৈরাচারের ধূসরের এর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন, সেটাই
আশা রাখেন।কারণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বর্তমানে যে সকলগণ কর্মকর্তা রয়েছেন, তারা সৎ নিষ্ঠা আনুগত্যের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসতেছেন। পূর্বের স্বৈরাচারের আমলের মত তারা কোন অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত নন।
কাউকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়া-নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোন কর্মকর্তার ভূমিকা নেই। তারা আশাবাদ রাখেন অবশ্যই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ড্রাইভার রাইহান এর বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।