ঢাকাবুধবার , ২৯ নভেম্বর ২০২৩

ওরা আমাকে রানির মতো রেখেছে : ইসরায়েলি নারী বন্দি

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
নভেম্বর ২৯, ২০২৩ ১২:১১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: ওরা আমাকে রানির মতো রেখেছে : ইসরায়েলি নারী বন্দি।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসের হাতে বন্দি থাকা এক ইসরায়েলি নারী বন্দি হামাস যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। হামাসের কাসাম ব্রিগেডের যোদ্ধাদের সদয় ও মানবিক আচরণের জন্য তিনি তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

ছয় বছর বয়সী মেয়ে এমিলিয়ার সঙ্গে ড্যানিয়েল অ্যালোনি নামের ওই নারীকে গাজায় আটক করে রাখা হয়েছিল। যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে মা-মেয়ে দুজনেই মুক্তি পান।

 

Close Player
বন্দি থাকা অবস্থায় হিব্রু ভাষায় চিঠিতে অ্যালোনি হামাসের সামরিক বাহিনী ইজ্জাদিন আল-কাসাম ব্রিগেডের যোদ্ধাদের অত্যন্ত সদয় আচরণের কথা উল্লেখ করেন এবং কৃতজ্ঞতা জানান।

হামাস সদস্যদের প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে চিঠিতে তিনি লিখেন, আপনারা আমার মেয়ে এমিলিয়ার সঙ্গে অত্যন্ত মানবিক আচরণ করেছেন। তাকে নিজের মেয়ের মতো করে ভালোবেসেছেন।

চিঠিতে তিনি আরও লিখেন, যোদ্ধাদের ব্যবহারে নিজেকে রানির মতো মনে হয়েছে। অ্যালোনি ছাড়া আরও যেসব ইসরায়েলি বন্দি হামাসের কাছ থেকে মুক্তি পেয়েছেন তারাও গাজায় বন্দি থাকা অবস্থায় সদ্ব্যবহার পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

এক সাক্ষাৎকারে থাই বন্দি পুমের বোন রুঙ্গারুন উইচানগুয়েন জানান, তিনি যখন ভাইয়ের সঙ্গে ভিডিও করে কথা বলেন তখন তাকে দেখতে উচ্ছ্বসিত লাগছিল, মনে হচ্ছিল সে ঠিক আছে।

থাই নাগরিক পুমের বোন আরও জানান, ভিডিও কলে কথা বলার সময় তার ভাই হামাসের হাতে বন্দি থাকা অবস্থায় ভালো যত্ন পেয়েছেন বলে তাকে জানান। ভেতন পুমে তার বোনকে জানান, বন্দিদের কোনো প্রকার নির্যাতন বা লাঞ্ছিত করেনি হামাসের সদস্যরা, এমনকি তাদের ভালো খাবারও দেওয়া হয়েছে সবসময়। হামাসের সুড়ঙ্গ ব্যবস্থাপনা ও বন্দিদের থাকার পরিবেশ নিয়ে বন্দি থাকা পুমে তার বোনকে জানান, বন্দি অবস্থায় তার মনে হয়েছিল তিনি কোনো সুড়ঙ্গে নয় বরং কোনো বাসায় রয়েছেন।

ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকদের বন্দি করার পর হামাস জানিয়েছিল তারা গাজার মেহমান। তাদের প্রতি কোনো প্রকার অন্যায় করা হবে না। এমনকি বন্দিদের প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানায় সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এর আগে, যুদ্ধের শুরুর দিকে চার বন্দিকে মুক্তি দিয়েছিল সংগঠনটি। তারা হলেন- মার্কিন নাগরিক জুডিথ রানান ও তার মেয়ে নাতালি রানান এবং ইসরায়েলি নাগরিক নুরিত কুপার ও ইয়োশেভেদ লিফশিৎজ। এসব বন্দিরা জানিয়েছিলেন হামাস সদস্যরা তাদের সঙ্গে সর্বোচ্চ মানবিক আচরণ করেছেন, এমনকি তাদের স্বাস্থ্যগত পরিচর্যাসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করেছে।