
নিউজ ডেস্ক :: নোয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত মো. ইমতিয়াজকে নিয়ে কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে তার বাবা হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে চাটখিল আলিয়া মাদ্রাসা মিলনায়তনে চাটখিল উপজেলা ছাত্রসমাজের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কোটি টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ তোলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নোয়াখালী সরকারি কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম রনি।
তিনি বলেন, ইমতিয়াজকে গেজেটভুক্তির মাধ্যমে সরকারি সুযোগ-সুবিধা আদায় করেছেন তার বাবা। মামলার ভয় দেখিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়সহ ৭০-৮০ লাখ টাকা ও ‘জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ থেকে আরও ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ইমতিয়াজ কোনো ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না; বরং থানা থেকে লুট করা অস্ত্র কোমরে রেখে পালানোর সময় নিজের গুলিতেই মারা যান। এরপর তার বাবার ‘জুলাই বাণিজ্য’ নিয়ে আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করলে, উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকার চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেব।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন, একই কলেজের শিক্ষার্থী গোলাপ হোসেন ফরহাদ। তিনি বলেন, যেভাবে কেউ মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই ইমতিয়াজও আন্দোলনে অংশ না নিয়েও ‘জুলাই শহীদ’ হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়েছেন। এটি শহীদদের অপমান এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধার অপব্যবহার। আমরা এর কঠোর তদন্ত ও শাস্তি দাবি করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তাহা ইয়াসিন, তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম, এবং চৌমুহনী এস. কলেজের শিক্ষার্থী মো. সামির।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমতিয়াজের বাবা হাবিবুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চাটখিল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, ইমতিয়াজের বিষয়টি তদন্তাধীন। আপাতত তার নাম সব ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে নেওয়া হবে।