ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩১ জুলাই ২০২৫

পিরোজপুরে সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে একাধিক বিয়ে, চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আ*ত্ম*সা*ৎ

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জুলাই ৩১, ২০২৫ ৬:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় সেনাবাহিনীর মেজর ও ডিজিএফআই পরিচয়ে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মো. সোহেল হাওলাদার নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। পঁচিশোর্ধ্ব এই যুবককে বৃহস্পতিবার (৩১) জুলাই মঠবাড়িয়া থানাধীন স্থানীয় বকসীর ঘটিচোরা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। আটক সোহেল পটুয়াখালী সদরের বাদেরপুর গ্রামের আব্দুল বারেক হাওলাদার ছেলে।

তার বিরুদ্ধে প্রতারণা অভিযোগের শেষ নেই। থানা সূত্রে জানা গেছে, ৫ মাস আগে নিজকে সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে মঠবাড়িয়ার গুলিশাখালী গ্রামের মৃত সেলিম হাওলাদারের মেয়ে ফারজানা আক্তারকে (২৩) বিয়ে করেন অভিযুক্ত যুবক সোহেল। তিনি সেনাবাহিনীর লোগো লাগানো একটি মোটরসাইকেল ব্যবহার করে এলাকায় সেনাবাহিনীর মেজর, আবার কখনো ডিজিএফআই অফিসার পরিচয় দিয়ে চলাফেরা করতেন।

সেনাবাহিনীর নাম ভাঙিয়ে তিনি মঠবাড়িয়া উপজেলার বকশীর ঘটিচোরা গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পুলিশ জানায়, সোহেল নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে সম্প্রতি উপজেলার সবুজ নগর গ্রামের গৃহবধূ হাসি রানী দাসের স্বামী হৃদয় দাসকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই গৃহবধূ চাকরির আশায় প্রথমে ১৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু সোহেল টালবাহানা শুরু করলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। তিনি আরও ৬/৭ জনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রতারণার শিকার গৃহবধূ হাসি রানী দাস এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেন। পরে তদন্ত করে সোহেলকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হাসি রানী মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা করেন। মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এবং জানান, অভিযোগ পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই যুবককে আটক করা হয়েছে। তিনি সেনাবাহিনী অথবা ডিজিএফআইয়ের কোনো সদস্য নয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ভুক্তভোগীর মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।’