
নিউজ ডেস্ক :: বরিশালবৃক্ষ নেই, প্রাণের অস্তিত্ব নেই, বৃক্ষহীন পৃথিবী যেন প্রাণহীন মহাশ্মশান। অফুরন্ত সৌন্দর্যের এক মধুর নিকুঞ্জ আমাদের এ পৃথিবী। এই পৃথিবীকে সবুজে শ্যামলে ভরে দিয়েছে প্রানদায়ী বৃক্ষরাজি। এ বিশ্বকে সুশীতল ও বাসযোগ্য করে রাখার ক্ষেত্রে বৃক্ষের অবদান অনস্বীকার্য। আবার মানুষের সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য যেসবমৌলিক চাহিদা রয়েছে তার অধিকাংশই পূরণ করে বৃক্ষ। তাই মানবজীবনে বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। তাই গোটা বরিশাল জেলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করছে প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব বরিশাল। তারই ধারাবাহিকতায় ‘সবুজে সাজাই বাংলাদেশ’ শ্লোগানে বরিশাল মডেল মসজিদ, শংকরমঠ মন্দির ও ক্যাথলিক চার্চে বৃক্ষরোপণকর্মসূচি মাধ্যমে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন ও প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের আয়োজনে প্রথমবারের মত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলালিংক। প্রথমেই ক্যাথলিক চার্চে বৃক্ষরোপনে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার অলক কুমার সর্মা, সমাজসেবার উপ-পরিচালক একেএম আক্তারুজ্জামান, সহকারী পরিচালকও প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের উপদেষ্টা সাজ্জাদ পারভেজ, সহকারীপরিচালক জাবির আহম্মেদ, যুব উন্নয়নের উপ পরিচালক (চলতিদায়িত্ব) প্রিন্স বাহাউদ্দিন, ফাদার লাজারুস গোমেজ, বাংলালিংকের সিনিয়র জোনাল ম্যানেজার আশিকুর শামস, প্রকৃতি ও জীবনক্লাবের উপদেষ্টা জেমস পি বিশ্বাস, প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবেরসমন্বয়কারী ও চ্যানেল আই প্রতিনিধি সাঈদ পান্থ, ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এলবার্ট রিপন বল্লভ, সিস্টার ক্লেরাসহ ক্লাবের সদস্যরা।
পরে বরিশাল মডেল মসজিদের বৃক্ষরোপণ করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সমরেশ রায় পলাশ, রিপোর্ট একাত্তরের গৌরব কর্মকার, সাকিব উল হক, জয় চন্দ্র শীল, ফাহিম রেজা রুদ্রসহ মসজিদের খাদেম। এরপর শ্রী শ্রী শংকরমঠ মন্দিরে বৃক্ষরোপন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সভাপতি প্রফেসর মফিজুর রহমান।
এরআগে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ ও মুলাদীর ৩২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৬শ বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছ লাগানো হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের উপদেষ্টা জাহাঙ্গির কবীর, সেইন্ট বাংলাদেশের পরিচালকবেলায়েত হোসেনসহ ক্লাবের সদস্যরা। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় প্রতি বছর ‘প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব’-এর এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন পরিবেশবাদীরা। বৃক্ষরোপণ অভিযানেঅংশ নেওয়া পরিবেশ কর্মীরা মনে করেন, রোপিত গাছগুলো বড় হলে তাপরিবেশে নির্মল বাতাস ও অক্সিজেন সরবরাহে ভ‚মিকা রাখবে এবংজলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব হ্রাসে সহায়ক হবে।