ঢাকারবিবার , ৩ আগস্ট ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

উজিরপুরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে চুরির নাটকীয়তা

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
আগস্ট ৩, ২০২৫ ৯:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: পূর্ব শত্রুতা জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে এক বাড়িতে চুরির নাটকীয়তার অভিযোগ উঠেছে গৃহবধূর বিরুদ্ধে। গত ২ আগস্ট গুঠিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতা জের ধরে প্রবাসীর বিল্ডিং এর জানালার গ্রীল খুলে বসত ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র, ব্যাংকের এফডিআর, জমির দলিল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেন প্রতিপক্ষ নান্না হাওলাদার এবং মামুন  হাওলাদারের বিরুদ্ধে। যার সম্পূর্ন মিথ্যা বলে জানিয়েছেন নান্না হাওলাদার গং। মূলত জমি সংক্রান্ত  পূর্ব শক্রতার জের ধরে আমাদের ফাঁসানোর জন্য গৃহবধূ কলি বেগম একটি মিথ্যা নাটক চালাচ্ছে। তিনি আরো বলেন নিজেরাই যাবতীয়  মালামাল বহু দিন আগে নিয়ে যায় এবং কি ঘরের বাথরুমের দরজাটাও এখন এই বিষয়টিতে চুরি হয়েছে বলে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।এমনকি সাংবাদিক ভাইদের ভুল তথ্য দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অনলাইন ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় একটা মিথ্যা নিউজ প্রকাশ করিয়েছে। নান্না হাওলাদার  আরো বলেন, কলি বেগম আমাদের সর্ম্পকে বাড়ীর চাচার  বউ। তার স্বামী র্দীঘ দিন বিদেশে থাকায় তিনি শাশুড়িকে ঘরে একা রেখে বাড়ির পাশে তার বোনের বাড়ীতে না যেন কোথায় গিয়া থাকে তা আমাদের জানা নেই। কলি তার অসুস্থ  শ্বশুরিকে একা রেখে কোথায় যান তা জানতে চাইলে এবং প্রতিবাদ করলে তিনি আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে থাকেন। পরে আমাদের ক্ষতি করার জন্য লেগে থাকে বলে অভিযোগ নান্না হাওলাদারের। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, ২০২৪ সালে ১২ নভেম্বর বরিশাল নগরীর হাসপাতাল রোডের গুপ্তকর্নার এলাকায় ফিল্ম স্টাইলে সিএনজি থেকে আমার বড় ভাইয়ের বৃদ্ধ  বউ এবং চাচাতো ভাইকে  মারধর করে ছিনতাই ও অপহরণের চেষ্টা চালানোর ঘটনায় ভুক্তভোগী মিনারা বেগম ৪ জনকে অভিযুক্ত করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় জাকির হোসেন রিপন নামে একজনকে আটক করে আদালতে প্রেরন করেন পুলিশ যেখানে কলির দুলাভাই আলম হাওলাদার সরাসরি জড়িত এবং আসামী । তখন মামলায় আসামি ছিলেন উজিরপুরের শুঠিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল আলম হাওলাদার, কলি বেগম, ইশা খানম, মমতাজ বেগম সহ ৪ জনে নাম। এছাড়াও উল্লেখ করা হয়েছিলো কলি সহ অভিযুক্তদের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলমান। গত বছরে ১১ নভেম্বর ২০২৩ ঘরের মধ্যে বিষাক্ত দ্রব্য প্রয়োগ করে হত্যা চেষ্টা মামলার বরিশাল আদালতে হাজিরার ধার্য তারিখ ছিলো। আদালত থেকে বাড়ি ফেরার সময় অভিযুক্তরা সহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জন মিনারা এবং তার দেবর মাহাবুব ইসলামকে মারধর করেন। মিনারা বেগমের গলা থেকে ৯৬ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্বর্নের চেইন এবং দেবর মাহাবুব ইসলামের সাথে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ সময় গাড়ির ভেতরে থাকা ভুক্তভোগীদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে পালিয়ে যান তারা। সেই ঘটনায় মামলা চলমান থাকায় তার জের ধরে কলি মামলার বাদী আত্মীয় স্বজনদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। এবং তার জের ধরেই মিথ্যা মামলা সহ সাংবাদিকদের কাছে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত করিয়ে হয়রানী করে যাচ্ছে। আমার তার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এছাড়াও কলির বিরুদ্ধে রয়েছে স্বামী বিদেশ থাকার কারনে তিনি শাশুড়ীকে টিফিন কেরিয়ারে খাবার দিয়া কোথাও চলে যেতেন ? শাশুড়ীতে দেখাশুনা করতো না। একটি ভাঙ্গা টিনের ঘরে ¯শাশুরিকে রাখা হতো। পরে তিনি বিনা চিকিৎসায় শাশুড়ি মারা যান। কলি বেগমের বোন অসুস্থ থাকায় তার দুলাভাই আলম হাওলাদারের সাথে তার সু-সম্পর্ক ছিলো বলে জানা যায়। কলি বেগম তার শশুর বাড়ীর সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্য শশুর বাড়ী লোকজনের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ করে শ্বশুরবাড়ীর লোকরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলি বেগমের শশুর-শাশুড়ী এবং তার দেবররা ও কখনও বাড়ীর মানুষের সাথে সম্পত্তি নিয়া কোন বিরোধ করেনি। কিন্তু সে দুলাভাইয়ের সাথে মিলে শ্বশুর বাড়ীর লোকদের সাথে ষড়যন্ত্র শুরু করে। পরবর্তীতে বিষয় গুলো নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ এবং থানার মাধ্যমে মিমাংসা করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রোয়েদাদ বা শলিস মিমাংসা করা হলেও কলি এবং তার দুলাভাই আলম একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে প্রতিপক্ষকে হয়রানী করার জন্য। সর্বশেষ কলি বেগম তার শশুর বাড়ীর মালামাল নিজে উপস্থিত থেকে লোকজন দিয়ে নিয়ে যাওয়ায় তার বসতঘড় ফাঁকা থাকে। কিন্তু সেখানে নতুন করে চুরির নাটক সাজিয়েছে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। নতুন ষড়যন্ত্র করেন তার ঘড়ের মালামাল চুরি হয়েছে যা সম্পুর্ন মিথ্যা। তার মালামাল নিয়ে যাওয়ার সকল ডকুমেন্টস রয়েছে প্রতিপক্ষের কাছে। কলি বেগমের শশুর শাশুড়ী এবং তার ভাসুররা ও কখনও বাড়ীর মানুষের সাথে সম্পত্তি নিয়া বিরোধ করেনি। কিন্তু সে দুলাভাইয়ের সাথে মিলে এই ষড়যন্ত্র শুরু করে। পরবর্তীতে সে যেসব জায়গা নিয়া প্রশ্ন তোলে তার  ভাসুর এবং স্বামীর অনুপস্থিতিতে সেগুলো ইউনিয়ন পরিষদ এবং থানার মাধ্যমে মিমাংসা করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রোয়েদাদ বা শলিসী রায় দেয়া হয়। এরপর এই কলি বেগম এবং তার দুলাভাই আলম একের পর এক ষড়যন্ত্র শুরু করে বাড়ীর মানুষকে হয়রানী করার জন্য। এবং কি উভয় পক্ষের বেশ কিছু মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। মামলা চলমান থাকায় শর্তেও শ্যালী ও দুলাভাইদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। মিথ্যা মামলা দিয়ে স্থানীয়দের বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তাই শ্যালী ও দুলাভাইদের ষড়যন্ত্রর হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে ভুক্তভেগীরা।