ঢাকাবুধবার , ৬ আগস্ট ২০২৫

কাউখালীতে মিথ্যা মা ম লা দিয়ে বাবাকে আটক করে মা’কে কু*পি*য়ে ঘর দ*খ*লের চেষ্টা

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
আগস্ট ৬, ২০২৫ ৬:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: পিরোজপুরের কাউখালীতে বৃদ্ধ বাবাকে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা বিস্ফোরক আইনে মামলা দিয়ে আটকে রেখে সৎ মাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় কুপিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে তার ছেলে মেয়ে ও তার সহযোগীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত সোমবার বিকাল ০৪:০০ টায় নিজ ঘরে অনাধিকার প্রবেশ করে তাকে কুপিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেয় ও মাথায় মারাত্মক জখম করে। মৃত্যু হয়েছে ভেবে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে সন্তান ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর ও ঘর লুটপাট চালায়। আহত হলেন পিরোজপুর জেলার কাউখালী থানার ৭ নং ওয়ার্ড বাঁশুরী গ্রামের বাসিন্দা ডক্টর কাজী মনিরুজ্জামান এর স্ত্রী মোসাঃ খালেদা আক্তার নিপা ।

বর্তমানে তিনি মুমূর্ষু অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । সৎ মাকে এমন মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধরের ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার ।

আহত সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর পূর্বে ডাঃ কাজী মনিরুজ্জামান সামাজিকভাবে নিপা বেগমকে বিবাহ করে। তাদের দাম্পত্য জীবনে তিনটি সন্তান রয়েছে। তবে মনরুজ্জামান এর পূর্বের ঘরের সন্তানরা বিভিন্ন সময় তার বর্তমান স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরের চেষ্টা চালায়। তাই কাজী মনিরুজ্জামান তার স্ত্রী নিপা বেগমকে বসতবাড়ির জমি লিখে দেয়। এতে পূর্বের ঘরে সন্তানরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।

ঘটনার দিন এর জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সৎ ছেলে কাজী নাঈম মেয়ে মদিনা আক্তার সুইটি ও সতীন নাসিমা এবং ভাড়াটে সালমা, দিলরুবা সহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জন সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালায়। এ সময় তার চিৎকার শুনে বোন হাসিনা বেগম এবং বোনের ছেলে মাহিম বাঁচাতে ছুটে আসলে তাদেরকে মারধর করা হয়।

পরে স্বজনরা আহতকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠায়। মারধর করেও ক্ষান্ত হয়নি এখন বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। ভুক্তভোগী পরিবার প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন কাটাচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। এ নিয়ে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে বলেও আহতের স্বজনরা আরো জানান।