
নিউজ ডেস্ক :: দক্ষিণ কোরিয়ার রুপালি পর্দার এক উজ্জ্বল তারকা, সং ইয়ং-কিউ। অভিনয়ের মঞ্চে যিনি ছিলেন অনন্য, যিনি দর্শকদের হৃদয়ে গেঁথে দিয়েছিলেন আবেগ, যিনি ছিলেন শিল্পের এক জীবন্ত প্রতীক। শেষমেশ সেই শিল্পীকে খুঁজে পাওয়া গেল নিথর, একাকী, নিঃসঙ্গ এক গাড়ির ভেতর।
সোমবার ৪ আগস্ট সিউলের দক্ষিণের ইয়ংইন শহরের চিওইন-গু এলাকায় উদ্ধার করা হয় সং ইয়ং-কিউয়ের মরদেহ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। জীবনের এই করুণ ইতি টেনে গেলেন এমন এক সময়, যখন তিনি সৃজনশীলতার নতুন অধ্যায়ে পা রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম এবং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বরাতে জানা যায়, তার মৃত্যুর মাত্র দুই সপ্তাহ আগে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল। যদিও সেই সময় তাকে সরাসরি আটক করা না হলেও প্রসিকিউশনের হাতে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নেন সং ইয়ং-কিউ। বাতিল করেন একাধিক নাটক ও সিনেমার প্রজেক্ট, যার মধ্যে ছিল শেকসপিয়ারের কালজয়ী নাটকের কোরিয়ান রূপান্তর ‘শেকসপিয়ার ইন লাভ’।
ঘটনার দিন এক পথচারী একটি গাড়ির ভেতর অচেতন অবস্থায় দেখতে পান তাকে এবং সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন পুলিশে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সং ইয়ং-কিউকে মৃত ঘোষণা করে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে কোনো আত্মহত্যার চিরকুট কিংবা হত্যার আলামত পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক বিতর্ক এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল কটাক্ষের মুখে পড়ে মানসিকভাবে চূড়ান্ত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন এই গুণী অভিনেতা।
তার আকস্মিক মৃত্যুতে কোরিয়ান বিনোদনজগতে নেমে এসেছে গভীর শোক। হাজারো ভক্ত সামাজিক মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে প্রিয় অভিনেতার বিদায়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।\