
নিউজ ডেস্ক :: ভারতের নয়ডায় একটি ভুয়া ‘থানা-পুলিশ’ চালানোর অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের ছয় বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সাবেক ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারী এবং তার ছেলেও রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রটি ‘ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অ্যান্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো নামে একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। তারা নিজেদের সরকারি কর্মচারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চাঁদা সংগ্রহ করত। প্রতারকরা নিজেদের বৈধ প্রমাণের জন্য অনলাইনে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সনদ প্রদর্শন করত।
পুলিশ বলছে, গোপন সূত্রে তারা এই ভুয়া সংস্থাটির ব্যাপারে খবর পায়। নয়ডার সেক্টর ৭০-এ ১০-১৫ দিন আগে এরকম একটি সংস্থা বোর্ড লাগিয়ে অফিস খুলেছে বলে জানতে পারে তারা। তবে ওই বাড়িটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল জুন মাসের শুরুতে।
স্থানীয় ডিসিপি শক্তি মোহন অবস্থি বলেন, ‘তথ্য পেয়েই জালিয়াতি, সরকারি নথির অপব্যবহারসংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়। এ ঘটনায় ভিজিটিং কার্ড, পরিচয়পত্র, চেক বইসহ নানা নথি আমরা উদ্ধার করি। কিন্তু আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার কর্মী বলে যে দাবি করছিল ধৃতরা, তার সমর্থনে কোনো প্রমাণ তারা দিতে পারেনি।
নেতৃত্বে সাবেক তৃণমূল নেতা
এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিভাস অধিকারীর বাড়ি বীরভূম জেলার নলহাটিতে। বীরভূমের স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, তিনি প্রায় ১৫ বছর আগে নলহাটি দুই নম্বর ব্লকের সভাপতি ছিলেন। ২০২১ সালের ভোটের আগে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তখন তিনি নিজেই একটি দল গঠন করেন এবং সে বছরের বিধানসভার ভোটে সাতজন প্রার্থীও দিয়েছিল তার দল।
এ ছাড়া বীরভূমে তার মালিকানাধীন একটি শিক্ষক-শিক্ষণ কলেজও আছে। পশ্চিমবঙ্গজুড়ে যে ব্যাপক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছিল, সেই তদন্তেও বিভাস অধিকারীর নাম জড়িয়েছিল বলে জানান সেখানকার স্থানীয় সাংবাদিকরা।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে দিল্লির আরেক উপনগরী গাজিয়াবাদে একটি ভুয়া দূতাবাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছিল, হর্ষবর্ধন জৈন নামে ৪৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি গাজিয়াবাদে একটা বাড়ি ভাড়া করে সেখান থেকেই ভুয়া দূতাবাসটি পরিচালনা করছিলেন।
উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের দাবি, ওয়েস্টার্কটিকা, সাবোরগা, পলভিয়া এবং লোডোনিয়ার মতো তথাকথিত দেশের কনসাল বা রাষ্ট্রদূত বলে পরিচয় দিয়ে মানুষকে প্রতারণা করতেন । বাস্তবে এই দেশগুলোর কোনো স্বীকৃতি নেই।