
নিউজ ডেস্ক :: বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে রোগীদের টাকায় ধনকুব তাজুল।
শেরে বাংলা মেডিকেলে আবুল কালাম ওরফে তাজুল কি স্থায়ী কর্মচারী না আউটসোর্সিংয়ের কর্মচারী ? ।মেডিকেলের সামনে দু ‘ দুটি ফার্মেসীর মালিক হয়েছেন।দু ‘ দুটি হোটেলের মালিক।ঝালকাঠি মেডিকেল নামক ফার্মেসীটি কিনেছেন ৬০ লাখ টাকায়।মেহেন্দিগঞ্জ ফার্মেসীর মালিকও তিনি। তার টাকার উৎস একমাত্র মেডিকেল এমনটাই বলেছেন হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বরিশাল থেকে গাজীপুর পর্যন্ত জমি ক্রয় করেছেন। বহুতল ভবন নির্মান করেছেন।ত্রিশ গোডাউন এলাকায় সম্প্রতি অর্ধকোটি টাকার জমি বিক্রয় করেছেন।নামে বেনামে সহায় সম্পদ গড়েছেন। তার সফলতা দালালী।তবে স্থানীয়রা বলেছেন রোগীদের টাকায় তাজুল এখন ধনকুব।গাড়ি আছে, ভবন আছে।সহায় সম্পদ আছে সবই শেরেবাংলা মেডিকেলের দালালীর টাকা।এ রকম অসংখ্য তাজুল আছেন যারা রোগীদের টাকায় ধনকুব হয়েছেন।সেইসব ধনকুবদের সফলতা কামনা করবেন সবাই।তাজুল সব আমলেই তিনি সামনের সারিতে থাকেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালের তৎকালীন পরিচালক বাকির হোসেনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আবুল কালাম ওরফে তাজুল। বরিশাল নগরীর রুপাতলীর বাসিন্দা তাজুলের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। কিন্তু তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাজুখান গ্রামের বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে ড্রাইভার পদে আবেদন করেছেন। তিনি অনুষ্ঠেয় নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন।বিষয়টি জানাজানি হলে তাজুলের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়।এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুনীতি ও বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। এই প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে।
পরে সাবেক সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর দোহাই দিয়ে হাসপাতালের অপারেশন বিভাগে তার ফার্মেসী থেকে ঔষধ ক্রয়,অব্যবহৃত ঔষধ তাজুলের ফার্মেসীতে বিক্রি করা সহ এমন কোন অভিযোগ নেই যা তাজুলের নামে নাই।রোগীধরা দালালী,ব্লাড ব্যাংকসহ দালালীতে ব্যস্ত থাকেন এই তাজুল। ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তন হলে ভোল্ট পাল্টে তিনি এখন হাসপাতালে দালালী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরেন।তাজুলের বিরুদ্ধে করোনাকালীন সময়ে সিলিন্ডার বিক্রি,হোটেল বিসমিল্লাহ ও গোবিন্দ হোটেল পরিচালনাসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।এছাড়া তাজুল হাসপাতালের সামনে মেহেন্দিগঞ্জ মেডিকেল ও ঝালকাঠি মেডিকেল নামক ফার্মেসীর মালিক তিনি।