
নিজস্ব প্রতিবেদক :: উজিরপুরে ব্যবসায়ীর জমিতে ঘর তুলে টাকা আদায়ের অভিযোগ : কাঙ্ক্ষিত অর্থ না পেয়ে স্থাপনা নির্মাণে বাধা।
জেলার উজিরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিকারপুর বন্দরে এক ব্যবসায়ীর জমিতে টিন দিয়ে ঘর উত্তোলন করে টাকা আদায় করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্যবসায়ীর পরিবার। ২ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ব্যবসায়ী পরিবারের পক্ষে মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ভূইয়া (সোহাগ) লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে জানান, সাবেক শিক্ষক মোঃ আবু বকর সিদ্দিক মাস্টার কলম খান এর ওয়ারিশ এনায়েত হোসেন খান ও আসমত আলি খান এর পুত্র হাবিবুর রহমান খান থেকে জমি ক্রয় করে এবং আমারা দুই ভাই মিলে ইসমাইল খান, আসমত আলী, ওয়ারিশদের থেকে জমি ক্রয় করি। এরমধ্যে আমি এবং আমার ভাই বেলাল হোসেন ভূঁইয়া ২১৩০, ২৯৯৩, ১৮৯০নং সব কবলা দলিলের মাধ্যমে ১৪১৯,১৪২০ নং দাগে ১২.৬২ শতাংশ জমি ক্রয় করে পাকা ইমারত নির্মাণ করি বাকি ফাকা জমিতে সাবেক শিক্ষক একটি টিনের ঘর উত্তোলন করে দখলের চেষ্টা করে। জবরদখল টিকিয়ে রাখতে তিনি আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা করেন। সিদ্দিক মাস্টারের মামলার প্রেক্ষিতে তিনি তার সিদ্দিক রাইস মিল নামে এস এ রেক রেকর্ডিও মালিক কলম খায়ের ওয়ারিশ এনায়েত খান ও আসমত আলী খানের পুত্র হাবিবুর রহমান খান এর কাছ থেকে ৫১২১ নং সাব কবলা দলিলের মাধ্যমে ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। সিদ্দিক মাস্টারের বাটোয়ারা মামলার প্রেক্ষিতে ওয়ারিশদের হিরসা অনুযায়ী আবুবক্কার সিদ্দিক মাস্টারের জমির পরিমান গিয়ে দাঁড়ায় ৮.৭৪ শতাংশ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সালিশ মীমাংসার ফলে মাস্টার কে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কাটছাঁট করে মোট ৯.৪৩ শতাংশ জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন এবং ব্যবসায়ী পক্ষ মেনে নেন।
শিক্ষক কর্তৃক নির্মিত ঘরটি অপসারণ করতে নগদ অর্থ প্রদান করেন মাস্টারকে। এ সময়ে ব্যবসায়ী আরো জানান মোটা অংক হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই ওই শিক্ষক ঘর না সরিয়ে আমার নির্মাণ কাজে বাধা দিচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী ছোট ভাই মোঃ বেলাল হোসেন ভূঁইয়া ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোঃ মজনু ভূঁইয়া, স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহ আলম খান মিন্টুসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ