ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশালে সরকারি জমি দখল করে বিএনপির কার্যালয় নির্মাণ

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫ ৫:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের উজিরপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) জমিতে টিন-কাঠের ঘর তুলে আওয়ামী লীগ কার্যালয় করা হয়েছিলো। সরকার পতনের পর সেই ঘর দখল করে ছাদ দিয়ে পাকা ভবন করেছে বিএনপি। প্রায় ৩ মাস যাবত নির্মাণ কাজ চললেও সওজের দাবী, তারা এ বিষয়ে কিছু জানেন না। জানা গেছে, বরিশাল-বানারীপড়ার সড়কে সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা গুঠিয়া সেতু।

এলাকাটি ওই এলাকার ব্যবসায়ীক বন্দর। বরিশাল থেকে বানারীপাড়া যেতে সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ঢালের শুরুতেই দক্ষিণ পাশে একতলা পাকা ভবন করা হয়েছে। ভবনটিতে গুঠিয়া ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয় করা হবে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একস্থানে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের দিকে স্থানীয় কর্মীরা টিনের ঘর তুলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয় করেছিলো। গতবছর ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন সেটি লুটপাট করে ভাংচুর শেষে আগুন দেয় বিএনপি কর্মীরা। এখন সেখানে বিএনপি কার্যালয় করার জন্য ছাদ দিয়ে ভবন করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ঢাল যেখানে শুরু হয়েছে সেখান থেকে আনুমানিক ৫ ফুট দূরত্বে ভবনটি করা হয়। খাল ঘেঁষে পিলারের ওপর দাড় করানো ভবনের চারদিকের দেয়াল ও ছাদ ঢালাই শেষ হয়েছে। ভবনে প্রবেশমুখ দেয়া হয়েছে পশ্চিম দিকে। এদিক দিয়ে মুল সড়কে থেকে গুঠিয়া হাটে যাওয়ার শাখা সড়ক। প্রবেশমুখ দুটি সাটার সমান। ভবনটি লম্বায় হবে ৩টি স্টলের সমান।

সওজের জমিতে ভবন করার কথা স্বীকার করেছেন গুঠিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ও উজিরপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক শাহিন হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘খালি জমি পড়ে আছে ভবন করেছি। সরকারের যদি কোনদিন প্রয়োজন হয় ছেড়ে দেবো’।

সেখানে আগে আওয়ামী লীগ ছিলো না বলে দাবী করেন শাহিন। সেতুর ঢালে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং সরকারি জমিতে পাকা ভবন করা ঠিক কিনা প্রসঙ্গ তুললে শাহিন উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘ঢাকায় সরকারি জমিতে অনেক দলের অফিস হয়েছে, তাতে হয়েছে কি?’ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদধারী এক নেতা জানান, তারা সওজ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে টিন-কাঠের ছাপরা ঘর তুলে কার্যালয় করেছিলেন। সরকার পতনের দিন লুটপাটের পর ভাংচুর শেষে আগুন দিয়েছে।

এখন বিএনপি পাকা ভবন করছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সওজের জমিতে পাকা ভবন হচ্ছে, বিষয়টি জানা নেই বলে দাবী করেন বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তার কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমাকে এ বিষয়ে কেই অবহিত করেননি। ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে খোঁজ নিচ্ছি’। বরিশাল-বানারীপাড়া সড়কের দেখভালের দায়িত্বে থাকা সওজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হামিদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে তিনি ভবনটি দেখে এসেছেন।

 

উঁচু ভবনটি ওঠার জন্য সিঁড়ির কাজও শেষ হয়েছে। ভবনটি সওজের জমিতে পড়েছে কিনা সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে দেখতে হবে। সওজ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় গুঠিয়া সেতু নিমিত হয়েছে। সেতুর জন্য দশমিক ৫৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিলো। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে এটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।