
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে আন্তর্জাতিক ‘নীলাকাশের জন্য নির্মল বায়ু’ দিবস উদ্যাপন।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে দিবসটি উপলক্ষ্যে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সমানে প্রান্তজন ও বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ ও জনসুরক্ষা ফোরামের আয়োজনে সমালের সানে পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান খোকন।
পথসভায় বক্তারা ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধারার পাশাপাশি বায়ুদূষণ রোধে করণীয় বিষয় নিয়ে ৫টি দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো:
১. ন্যায্য জ্বালানির অঙ্গীকার, নির্মল বায়ু সবার অধিকার।
২. কলাপাড়ায় আশুগঞ্জ কোম্পানির জন্য অধিগ্রহণকৃত জমিতে জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
৩. পায়রা ৫০ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র দ্রুত বাস্তবায়ন করা।
৪. পায়রা ১৩২০ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র (২য় ফেস) বাতিল করা।
৫. ক্লিন এয়ার অ্যাক্ট’ দ্রুত বাস্তবায়ন করা।
বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ ও জনসুরক্ষা ফোরামের আহ্বায়ক শুভংকর চক্রবর্তী বায়ুদূষণ বর্তমান বিশ্বে প্রথম পাঁচটি মৃত্যু কারণ বায়ুদূষণ অন্যতম একটি কারণ উল্লেখ করে বলেন, সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষ বায়ুদূষণের কারণে অকালে মৃত্যুবরণ করেন। যা অন্য যে কোনো পরিবেশ গত দূষণে সংঘটিত মৃত্যু সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। শুধু তাই নয়, বায়ুদূষণজনিত অসুস্থতায় মানুষের কর্মক্ষমতা বহুলাংশে হ্রাস পায় যার আর্থিক মূল্য অপরিসীম।
উন্নয়ন সংগঠন আরোহির নির্বাহী পরিচালক এটি এম খোরশেদ আলম বলেন,’ বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব শুধু মানব স্বাস্থ্যের ওপরই সীমাবদ্ধ নয়। জীবজগৎ ও উদ্ভিদের ওপরেও এর প্রভাব মারাত্মক। জলবায়ু পরিবর্তনেও বায়ুদূষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বায়ুদূষণের এমন সব বহুমাত্রিক ক্ষতিকর প্রভাব থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত এটি নিয়ন্ত্রণে কোনো আন্তর্জাতিক ট্রিটি বা সমঝোতা নেই।’
প্রান্তজনের নির্বাহী পরিচালক জনাব তৌহিদুল ইসলাম শাহাজাদা বলেন, পৃথিবীর জনগোষ্ঠীর শতকরা ৯০ ভাগ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক সংজ্ঞায়িত অনিরাপদ বায়ুতে বসবাস করে। এশিয়া মহাদেশের বায়ুদূষণের চিত্র আরও ভয়ংকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বায়ুদূষণের একহাজার ৬০০টি শহরের তালিকার প্রথম ২০টি অধিক দূষিত শহর দক্ষিণ এশিয়াতে। বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ শহর ২০টির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এ জন্য বাংলাদেশ সরকার যে খসড়া ‘ক্লিন এয়ার অ্যাক্ট’ প্রণয়ন করেছে তা আইন বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
বরিশাল পরিবেশ ও উন্নয়ন ফোরামের আহ্বায়ক জনাব সুভাষ দত্ত বলেন, ‘বায়ু দূষণ কোনো দেশের সীমানা মেনে চলে না। এটি তুলনামূলক নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের ওপর বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।’
পরিবেশ ও উন্নয়ন ফোরামের সদস্য জনাব আক্তারুল কবির বলেন, ‘বায়ুদূষণের কারণে কেবল স্বাস্থ্যের নয়, ক্ষতি হচ্ছে দেশের অর্থনীতির ওপরে। বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। ‘যা দেশের জিডিপির প্রায় ৫ শতাংশ।