
নিজস্ব প্রতিবেদক :: অপসংবাদিকতা রোধে ও সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি প্রতিরোধে গঠিত ১৫ সংগঠনের যৌথ সভা বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম খসরুর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, প্রকাশক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি কাজী মিরাজ মাহমুদ, সাংবাদিক ইউনিয়ন বরিশালের সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন, সাধারণ সম্পাদক ফিরদাউস সোহাগ, বরিশাল ইলেকট্রনিক্স জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুরাদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার বরিশাল বিভাগীয় সভাপতি বীরেন্দ্রনাথ সমাদ্দার, সিনিয়র সাংবাদিক কাজী আল মামুন, বার্তা সম্পাদক ফোরাম বরিশালের আহ্বায়ক জিয়া শাহিন, বরিশাল সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শাহিন হাসান, টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহিন সুমন, বরিশাল ফটো সাংবাদিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সাগর প্রমুখ।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মনিটরিং গ্রুপের সদস্য চারজনে বর্ধিত করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট সদস্য সংখ্যা ৭ জনে উন্নীত হয়েছে। বর্ধিত চারজন সদস্য হলেন- কাজী আল মামুন, সাইফুর রহমান মিরন, শাহীন হাসান, কাওসার হোসেন।
ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিক সংগঠন বরিশাল প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটিতে দুইটি অভিযোগবাক্স স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
একইসাথে সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া ও পরবর্তীতে যে কোনো সময় ১৫ সংগঠনের সদস্য সাংবাদিকদের নিয়ে, অপসংবাদিকতা রোধে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সাংবাদিকতা কোর্স সভায় সাংবাদিকতার নামে যে কোনো চাঁদাবাজি রুখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখ্য ইতোপূর্বে, বরিশাল প্রেসক্লাবে সম্পাদক-প্রকাশকদের সাথে ১৫ সংগঠনের যৌথ সভায় সাংবাদিকতার নামে যে কোনো চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে নেয়া যে কোনো উদ্যোগে সম্পাদক ও প্রকাশক বৃন্দ, অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এর আগে এক শিক্ষকের কাছ থেকে দ্বিতীয় দফায় চাঁদাবাজির চেষ্টাকালে বরিশাল বেলস পার্ক থেকে দুই চাদাবাজকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে ১৫ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আটকরা জেল হাজতে রয়েছে। তাদের রিমান্ড শুনানি আগামী ২ নভেম্বর।


