নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে কোপালো সন্ত্রাসীরা
বরিশাল নগরীতে মেহেদি হাসান মিঠুন (৩৫) নামের ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিকে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর নগরীর রাজাবাহাদুর সড়কের মহিলাক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই রক্তাক্ত মিঠুনকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। এরআগে হামলাকারীরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়।
আহত মেহেদি হাসান মিঠুন নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তিনি নগরীর সি অ্যান্ড বি রোড ১ নম্বর পোল এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
মিঠুনের অভিযোগ মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাসের নেতৃত্বে তাকে হত্যার উদ্দেশে কোপানো হয়েছে।
আহত মিঠুন বলেন, শনিবার নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক শামীমকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতে শ্বশুর বাদশা চৌধুরী নিয়ে নগরীর নবগ্রাম রোডে প্রতিমন্ত্রীর বাসায় যাই। সেখানে শ্বশুরকে নামিয়ে দিয়ে মোটরসাইকেলে করে বঙ্গবন্ধু উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলাম। পথে মহিলা ক্লাবের সামনে পৌঁছালে প্রদীপ দাস তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে আমার পথরোধ করেন। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কোপানো শুরু করেন। ডাক-চিৎকার দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।
মিঠুন আরও বলেন, হামলাকারীদের সঙ্গে তার পূর্ববিরোধ ছিল। তবে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। বর্তমানে তাদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তবুও কেন তাকে কুপিয়েছে সে সম্পর্কে জানেন না তিনি।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মিঠু জানিয়েছেন, তার ডান হাতের আঙুল ও পা মারাত্মক জখম হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাস বলেন, আমি ঘটনাটি শুনে আশ্চর্য হয়েছি। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। মিঠুন মাদকের ব্যবসা করেন। সেই বিরোধ নিয়ে কেউ হয়ত তাকে কুপিয়েছে। এখন সেই দোষ আমার উপরে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুর হক বলেন, ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে কুপিয়ে জখমের সঙ্গে কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’