নিউজ ডেস্ক :: ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত আগামীকাল
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে শুক্রবার। এদিন টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের বৃহত্তম জুমার জামাত। ইজতেমায় আসা ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ছাড়াও রাজধানী ও আশপাশের লাখো মানুষ জুমার নামাজে অংশ নিয়েছেন।
মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভীর ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভীর আমবয়ানের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। কাল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।
ইজতেমা সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
নামাজের আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মেহমানদের খোঁজখবর নেন আ ক ম মোজাম্মেল হক ও জাহিদ আহসান রাসেল। এ সময় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে ৫৪ দেশের প্রায় ৬ হাজার বিদেশি মুসল্লি ইজতেমার বিদেশি খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিদেশি নাগরিক এসেছেন ভারত থেকে। তারা তাদের নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়ে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন। দ্বিতীয় পর্বে এসেছেন মালয়েশিয়ায় ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ খ্যাত আলোচিত সমাজকর্মী ইবিট লিও। ইবিট ইরাওয়ান বিন ইব্রাহিম লিও মালয়েশিয়ায় মুসলিম উদ্যোক্তা এবং ধর্মপ্রচারক হিসাবে তিনি বেশ পরিচিত।
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরুর আগে ও পরে শুক্রবার সন্ধা পর্যন্ত সাত মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন সড়ক দুর্ঘটনায় বাকি ছয়জন বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন। নিহতরা হলেন- শেরপুর সদর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মোহাম্মদ আবুল কালাম (৬৫), নেত্রকোণার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামের মো. হেলিম মিয়া (৬৫), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার শিবনগর এলাকার মো. জহির উদ্দিন (৭০) ও জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার গোয়ালের চর গ্রামের নবীর উদ্দিন (৬৫)। এছড়া শুক্রবার সকালে ইজতেমায় আসার পথে আব্দুল্লাহপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আবুল কাশেম (৬৫) নিহত হন। মারা যাওয়া অন্য দুইজনের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম জানান, ছয়জন বার্ধক্যজনিত কারণে ও অন্য একজন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। যাদের তথ্য ও ঠিকানা পাওয়া গেছে, তাদের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।