নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা বকশিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফেরদৌসি বেগমকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য আকতার হোসেন বাবু ও তার সহযোগীরা লাথি, কিল, ঘুসি ও পিটিয়ে জখম করেছে।
গুরুতর আহত প্রধান শিক্ষিকাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বরিশাল বিমান বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রধান শিক্ষিকা ফেরদৌসি বেগম সাংবাদিকদের শুক্রবার বিকালে বলেন, বুধবার দুপুরে বিদ্যালয়ের ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য বাবু এবং তার সহযোগীরা আমাকে টেনে হিঁচড়ে বিদ্যালয়ের মাঠে এনে এলোপাতাড়ি লাথি, কিল, ঘুসি ও জুতা দিয়ে পিটিয়েছে।
সম্প্রতি বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি গঠন হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় বাবু। এরপর থেকে আমাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে আসছে। বাবুর বোন স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা খুরশিদা বিভিন্ন সময়ে আমার সাথে বাকবিতণ্ডে লিপ্ত হয়। বুধবার স্কুল পরিদর্শনে ডিডি স্যার আসেন। ডিডি স্যার যাওয়ার পর ফের আমার সাথে ভাইয়ের পক্ষ হয়ে বাকবিতণ্ডা করে খুরশিদা। একপর্যায়ে খুরশিদা বেগম তার ভাইকে ফোন করে স্কুলে এনে আমাকে ক্লাস থেকে টেনে বিদ্যালয়ের মাঠে এনে বেদম মারধর করে। এ সময় আমার ছোট মেয়ে প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করে।
এছাড়া একইদিন আমার ছেলে অনিককে বাজারের ব্রিজের ঢালে পথরোধ করে বাবু ও তার সহযোগীরা মারধর করেছে। এ ঘটনায় বরিশাল বিমানবন্দর থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
প্রধান শিক্ষিকা ফেরদৌসি বেগম হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
স্কুলের শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন, ইসমত আরা মনি, সেলিনা আক্তার, খাদিজা আক্তার, খুরশিদ জাহান বলেন, আকতার হোসেন বাবু মোটরসাইকেলযোগে স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষিকাকে মারধর করেছে।
বাবুর বোন খুরশিদা বেগম বলেন, প্রধান শিক্ষিকাকে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে আমার ভাই বিদ্যালয়ে আসার পর প্রধান শিক্ষিকা তাকে খারাপ ভাষায় কথা বলেন। এ নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত আকতার হোসেন বাবু বলেন, আমার সাথে প্রধান শিক্ষিকার হাতাহাতি হয়েছে। তাকে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। প্রধান শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনায় হামলাকারী আকতার হোসেন বাবু’র বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।