নিউজ ডেস্ক :: অবশেষে জানা গেল রাস্তায় তরুণ-তরুণীর মারামারির কারণ
ঈদুল ফিতরের দিন দুপুরে রাস্তায় কালো পোশাক পরা এক তরুণীকে দফায় দফায় মারধর করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল হওয়া সেই তরুণ-তরুণী সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী বলে জানা গেছে। মূলত মান-অভিমানকে কেন্দ্র করেই তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ৪৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, এক তরুণ ও কালো সালোয়ার কামিজ পরা এক তরুণী বাউফলের কালাইয়া শৌলা সড়কে হাত ধরে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। তরুণের পেছনের দিকে কালো পাঞ্জাবি অর্ধেক ছেঁড়া। হেঁটে যাওয়ার একপর্যায়ে ওই তরুণ তরুণীকে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে কিলঘুষি মারছেন। চুল ধরে টানাটানি করছেন। ওই তরুণ সামনের দিকে হাঁটতে থাকলে তরুণী পেছন থেকে তরুণের হাত ধরে ফেলে। এরপর খানিকটা দুই জনে হেঁটে সামনে এগিয়ে তরুণ ওই তরুণীকে আবার ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। ভিডিওতে আরো দেখা যায়, তরুণী ওঠে ফের ওই তরুণের হাত ধরে এবং সামনে হাঁটতে থাকে। একপর্যায়ে ওই তরুণ তরুণীকে চুলের মুঠি ধরে কিলঘুষি মারতে থাকেন এবং ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশে ফেলে দেন। এভাবে দফায় দফায় তরুণীকে মারধর করা হয়। ওই সময় রাস্তা দিয়ে যানবাহন ও পথচারীরা চলাচল করলেও এগিয়ে আসেননি কেউ।
ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনরা ভিডিওর নিচে নানা ধরনের কমেন্ট করছেন। অবশেষে পরিচয় মিলেছে সেই তরুণ-তরুণীর। তরুণীর নাম মিম। তার বাবার নাম মিলন। কালাইয়া লঞ্চঘাট এলাকায় তাদের বাসা। এক বছর আগে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কামরুল নামে এক তরুণের সঙ্গে বিয়ে হয় তার।
বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ভিডিওটি দেখেছি। নির্যাতিত তরুণীর পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।