নিউজ ডেস্ক :: ছুটি শেষে পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে শেষ পুরো পরিবার
ফরিদপুরে বাস ও পিকআপভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ১৩ জনের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুর সদরের দিগনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এক পরিবারের নিহত পাঁচজন হলেন- ফরিদপুরের বোয়ালমারীর বেজিডাঙ্গা গ্রামের রফিক মোল্লা (৩৫), তাঁর স্ত্রী সুমি বেগম (২৩), দুই ছেলে রুহান মোল্লা (৬), হাবিব মোল্লা (৩) ও মা।
রফিক ঢাকায় একটি সরকারি অফিসে লিফটম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ঈদের ছুটি শেষ করে তিনি মা, স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে পিকআপভ্যানে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে আসা একটি পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন মারা যান। এ ছাড়া নিহত আরেকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।তাঁর নাম মর্জিনা বেগম।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে আসার পর বাসটির একটি চাকা রাস্তার গর্তে পড়ে যায়। গাড়িটি আড়াআড়িভাবে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পিকআপভ্যানটি বাসটির মাঝামাঝিতে এসে আঘাত করলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে মাগুরার উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত সাতজনকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।