![](https://ajkercrimetimes.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
অর্থনীতি ডেস্ক :: ভারত নতুন রপ্তানি মূল্য ঘোষণার পর থেকে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম হুহু করে বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি আমদানি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৩০ টাকায়, যা একদিন আগেও ছিল ১২০ টাকা। অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজের কেজি ১৩০ টাকা থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার ২০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকায় বিক্রি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আমদানিকারক ও বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতের নতুন দাম নির্ধারণ করা পণ্য এখনো দেশে পৌঁছায়নি। বাড়তি দামে এখন যেসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, তা আগেই আমদানি করা হয়েছে। আমদানি করা নতুন চালানের পেঁয়াজ দেশে আসতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা থেকে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। আর দেশি পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও অযৌক্তিকভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা।
এদিকে গত ২৮ অক্টোবর ভারত স্থানীয় বাজারের স্থিতিশীলতা ঠিক রাখতে পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করে ৮০০ মার্কিন ডলার। এর আগে পণ্যটি আড়ইশ থেকে ৩০০ ডলারে আমদানি করা হতো। এই রপ্তানি মূল্য নির্ধারণের খবরে দেশে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। যদিও আমদানিকারকদের দাবি, নতুন দামের পেঁয়াজ এখনো দেশেই আসেনি।
ট্র্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, এক মাসের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। টিসিবির বিশ্লেষণে এক মাসের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হলেও পেঁয়াজের এই দাম পুরোটাই বেড়েছে গেল চার দিনে।
ঢাকার পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা খুচরা দোকানি পর্যন্ত গেলে হয়তো আরও ১০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হবে।
কারওয়ানবাজারের পেঁয়াজের আড়তদার মো. মিন্টু বলেন, ‘পাবনা ও ফরিদপুরের পাইকারি ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে। যে কারণে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আরেক আড়তদার আশরাফুল আলম বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম কমার লক্ষণ নেই বরং আরও বাড়তে পারে।
![](https://ajkercrimetimes.com/wp-content/uploads/2023/11/BestFarma-213x300.jpeg)