বানারীপাড়া প্রতিনিধি :: বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড থেকে ইউনানি ভুয়া ডাক্তার পরিমল চন্দ্রকে আটক করেছে বানারীপাড়া থানা পুলিশ।জানা গেছে ২৬ নভেম্বর রাত আট ঘটিকায় পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডস্থ জোহরা মঞ্জিলের দ্বিতীয় তলায় ভুয়া ডাক্তার পরিমলের কথিত চেম্বারে ভুক্তভোগী রোগী এবং জনসাধারণ তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।স্হানীয় জনসাধারণ বিষয়টি জানতে পেরে বানারীপাড়া থানা পুলিশকে অবিহত করলে এস আই মোঃ জাহিদুল ইসলাম তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন।প্রতারনায় ভুক্তভোগী রোগী,চেম্বারের কর্মচারী ও সাধারন জনগনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা ভুয়া ডাক্তার পরিমল ও তার একান্ত সহযোগী অন্য আসামী হুমায়ুন কবির সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়।ওই চেম্বারে কর্মরত কর্মচারীগণ জানায় যে ডাক্তার পরিমল চন্দ্র তাদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বারবার অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছে এবং তারা সেই টাকা ফেরত চাইলে তা পরিশোধ না করে বিভিন্ন তালবাহানা করছে।এমনকি যারা এখানে চাকুরী করে তাদেরও মাসের পর মাস বেতন দেয় না বলে ভুক্তভোগী কর্মচারিগন অভিযোগ করে।এছাড়াও জানা যায় থানা পুলিশের এসআই মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের আসামি পরিমল চন্দ্রকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহ হলে তাকে থানায় নিয়ে আসেন।পরিমল চন্দ্র নিজেকে মেডিকেয়ার ল্যাবরেটরী এর এসিস্টেন্ট মেডিকেল অফিসারের পরিচয় দেয়।ডাক্তারি সনদ যাচাই-বাছাই এর পরে পুলিশের সন্দেহ হয়।পরিমল চন্দ্রকে পূনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার সনদ ভুয়া বলে স্বীকার করে। পরিমল চন্দ্রের বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা গ্রামে এবং অন্য আসামী মোঃ হুমায়ুন কবির খানের বাড়ি বরিশাল সিটির কাউনিয়া থানার শায়েস্তাবাদ গ্রামে।তাদের ব্যাপারে এসআই জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান বুধবার সকালে পরিমল চন্দ্রকে বরিশাল জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অন্য আসামী প্রতারক হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে ।আসামিদের বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি উপজেলায় এভাবে চেম্বার খুলে ভুয়া চিকিৎসা এবং চাকুরি দেওয়ার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।