
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে ফের বেদখল ফুটপাথসহ পার্কগুলো : চাঁদাবাজদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠছে অবৈধ দোকানপাট।
মহানগরীর বেশীরভাগ জনগুরুত্বপূর্ণ ও গণ ব্যবহারের ফুটপাথ সহ ওয়াকওয়েগুলো আবার বেদখল হয়ে যাচ্ছে। এমনকি এক শ্রেণির নব্য ও সক্রিয় চাঁদাবাজদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহনে নগরীর বেলসপার্ক ও নবগ্রাম রোড-চৌমহনী লেকের পাড় সহ সম্প্রতি উচ্ছেদকৃত বিভিন্ন পার্ক ও আশপাশের স্থানগুলোতে অবৈধ দেকানপাট ফিরে আসছে। আর ফুটপাথের বিপুল সংখ্যক দোকান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার চাঁদা উত্তোলন করছে নব্য চাঁদাবাজরা।
নগরীর নবগ্রাম রোড-চৌমহনী লেকের পূর্ব পাড়টি থেকে সম্প্রতি সব পথ খাবারের দোকান উচ্ছেদ করে সিটি কর্পোরেশন। অনুরূপভাবে বেলসপার্কের উত্তর পাশের সড়কটি থেকেও অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু নগর প্রশাসকের বাসা ঘেরাও করে দাবী পেশ করা মাত্রই সপ্তাহের ব্যবধানে সব পথ খাবারের দোকানগুলো ফিরে আসে। সেখানের পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, বেলসপার্কের উত্তর প্রান্ত দিয়ে এখন আর মাঠে প্রবেশ করার কোন সুযোগ নেই।
এমনকি উচ্ছেদ পরবর্তি কথিত পুনর্বাসনের নামে অনেক পুরনো দোকানের সাথে নতুনদের আগমনও বাড়ছে। নগরীর নবগ্রাম রোড-চৌমহনীতেও নানা অনিয়মের মধ্যে বিশাল লেকের পূর্ব পাড়ের সব অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হলেও দক্ষিণ ও পশ্চিম পাড়ে নজর দেয়নি।
নগর প্রশাসন। অথচ লেকটির পশ্চিম পাড়ে মাত্র সাড়ে ৯শ ফুট রাস্তায় শিশুদের ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নগরীর ৩০ গোডাউন সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী তীরের শতায়ু অঙ্গনের এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের এক সপ্তাহ পরেই পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। এখন সেখানে হাঁটা দায়। বিবির পুকুরের দক্ষিণ পাড়ের চিত্র আলাদা কিছু নয়।
এ নগরীতে যেখানেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়, সেখানেই সপ্তাহের ব্যবধানে তারা নতুন করে ফিরে আসে। ফলে দিন দিন এ নগরীতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়ছে। এ নগরীর বেশীরভাগ মানুষ নানা ধরনের পেটের পীড়ায় ভুগছেন। চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে আগষ্ট পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চরেল সরকারি হাসপাতালগুলোতেই ডায়রিয়া সহ নানা ধরনের পেটের পীড়া নিয়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর দখল দূষণে এ নগরীতে একটু বুক ভরে শাস নেয়াও কষ্টকর হয়ে উঠেছে। নগরীজুড়ে পথ খাবারের দেকানের বিষয়ে একটি গ্রহণযোগ্য সামাধান সূত্র বের করারও তাগিদ দিয়েছেন সাধারন নগরবাসী। একইসাথে চাঁদাবাজ সহ যাদের আশীর্বাদে এসব অবৈধ দোকানপাট বারবার ফিরে আসছে, তাদের চিহিৃত করে আইনের কাছে সোপর্দ করার দাবী তুলেছেন সাধারণ মানুষ।


