নিজস্ব প্রতিবেদক :: মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় শারমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় মরদেহের পাশে বসে কাঁদছিলো নিহতের তিন বছরের কোলের শিশু। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ধানকোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্বজনদের দাবি, শারমিনের দ্বিতীয় স্বামী রতন মিয়া তাকে হত্যা করেছে। নিহত শারমিন উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের বরুন্ডি গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে। তিনি তিন সন্তানের মা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, একই গ্রামের মনোয়ার হোসেনের সাথে প্রথমে বিয়ে হয় শারমিনের। সংসারের একপর্যায়ে শারমিন তার প্রথম স্বামীকে তালাক দেন। পরে পাশ্ববর্তী ধামরাই উপজেলার হাতকোড়া গ্রামের রতন মিয়াকে বিয়ে করেন তিনি। পারিবারিক কলহের জেরে দুই বছর আগে রতনকেও তালাক দেন শারমিন। এরপর থেকে তিন কন্যা সন্তানকে নিয়ে তিনি একা বসবাস করতেন। এরমধ্যে প্রথম স্বামীর সাথে আবার যোগাযোগ হয় শারমিনের। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা দুজন আবারও একত্রে সংসার করার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন।
ঘটনার দিন দুপুরে শারমিনকে তার দ্বিতীয় স্বামীর সাথে কথা বলতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এসময় তার তিন বছরের ছোট মেয়ে মাহিয়া তার মায়ের কোলে ছিলো। কিছুক্ষণ পর রতন মিয়াকে দৌড়ে যেতে দেখা যায়। পরে উপজেলা কৃষি ইনস্টিটিউট ট্টেনিং সেন্টারের নিরাপত্তা দেয়ালের পাশে গলাকাটা অবস্থায় শারমিনের মরদেহ পান স্থানীয়রা। এসময় মরদেহের পাশে বসে কাঁদছিলো শিশু মাহিয়া। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, শারমিন প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে যাচ্ছে এই ক্ষোভ থেকেই রতন তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্ল্যা জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শারমিনের দুই স্বামীকেই আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।