![](https://ajkercrimetimes.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নিউজ ডেস্ক :: ঢাকায় ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের আগ পর্যন্ত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় ৯৮টি মামলা ছিল। মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে পুলিশ সদস্য হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ নানা অভিযোগে গত রোববার রাজধানীর পল্টন ও রমনা মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা সেঞ্চুরি পার করল। এরই মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গ্রেপ্তারের পর তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অন্য মামলাগুলোতে তাকে শিগগির গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানা গেছে।
২০১১ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পান মির্জা ফখরুল। ২০১৬ সালে দলের জাতীয় সম্মেলনে তাকে পূর্ণাঙ্গ মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে নাশকতা, বোমা বিস্ফোরণ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ নানা অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বর্তমানে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০২টিতে। এর মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫টি সচল রয়েছে, কয়েকটিতে অব্যাহতি পেয়েছেন। আর বাকিগুলোর বিচার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত আছে।
২৮ অক্টোবর পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ নিহতের ঘটনায় গত রোববার পল্টন মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন পুলিশের এসআই মাসুক মিয়া। এ মামলার প্রধান আসামি মির্জা ফখরুল। এ থানায় ভাঙচুর, নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের আরেক মামলাতেও তাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া রমনা থানায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের দুই মামলায় তাকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল দৈনিক কালবেলাকে বলেন, হয়রানির উদ্দেশ্যে কোনো মামলা হয় না। সহানুভূতি নেওয়ার জন্য হয়রানির কথা বলা হয়। সত্য ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, বিএনপির আন্দোলনকে দুর্বল করতেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়েছে সরকার। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে পরিকল্পিতভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
![](https://ajkercrimetimes.com/wp-content/uploads/2023/11/BestFarma-213x300.jpeg)