ঢাকাশুক্রবার , ১০ মে ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কাউখালীতে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পারাপার করেন বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
মে ১০, ২০২৪ ৭:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক  :: কাউখালীতে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পারাপার করেন বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী।

পিরোজপুরের কাউখালীতে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো ব্যবহার করছে বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী। উপজেলার আমরাজুরী ইউনিয়নের গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জব্দকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দত্তেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের   সামনের খালের উপর ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো থাকায় বাধ্য হয়ে কোন কোন বিকল্প রাস্তা না থাকায় বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী সহ এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে  সাঁকো পেরিয়ে বিদ্যালয় সহ এলাকার বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে। এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান দীর্ঘদিন ধরে এই সেতুগুলো সংস্কার না করায় দিন দিন  সেতুগুলো ভেঙ্গে পড়ে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা সহ জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে। দত্তেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফারিয়া আক্তার বলেন, আমি একা ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পেরিয়ে যেতে ভয় পাই, আমার বাবা-মা আমাকে বিদ্যালয় দিয়ে আসে। জব্দকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর সিকদার বলেন, আমি দীর্ঘদিন এই বিদ্যালয় আছি। সেতুটি দীর্ঘদিন যাবত ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার হচ্ছে। অনেক সময় আমাদের নিজেদেরকে ছাত্রছাত্রীদের সাঁকো পারাপারে সহযোগিতা করতে হয়। গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গায়ত্রী মুখোপাধ্যায় বলেন, জোয়ারের সময় খালে পানি বেশি আসায় আমরা ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে টেনশনে থাকি। তখন সেতু পারাপারে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক অনিল হালদার ও আব্দুল জব্বার বলেন, আমাদের কোমলমতি ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয় পাঠাতে ভয় লাগছে ,কিভাবে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু উপর দিয়ে বিদ্যালয় যাবে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের সামনের সাঁকো গুলো সংস্কার করা দরকার। কারণ অনেক ছাত্রছাত্রীরা সাঁতার জানে না, যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।আমরাজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজগুলোর তালিকা তৈরি করে উপজেলা পরিষদের সমন্বয়ে মিটিং এ উপস্থাপন করব এবং ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলোর তালিকা পেলে অগ্রঅধিকারের ভিত্তিতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।