নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত মন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পাচ্ছেন এমন খবর এখন টক অব দ্যা টাউন হয়ে উৎসুক নগরবাসীর মুখে মুখে ভেসে বেড়াচ্ছে। মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহর মন্ত্রী হওয়া এখন সময়ের দাবী।
সর্বশেষ খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের মেয়রদের প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা দেয়ায় বরিশালের মানুষের প্রাণের দাবী আবুল খায়ের আবদুল্লাহকেও এ পদমর্যাদা দেওয়া হোক। বিশেষ করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে বরিশালকে একটি আধুনিক ও সমৃদ্ধ নগরী গড়তে তার দৈনন্দিন কার্যক্রম জনমনে ব্যাপক আশা জাগিয়েছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে- মন্ত্রী হওয়ার আনুসাঙ্গিক কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। এখন গেজেট প্রকাশ হলেই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। তবে সবকিছু নির্ভর করবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর। গোয়েন্দা সূত্রের তথ্যে ৯ মাসের কার্যক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিটি মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহর উপর অনেকটাই খুশি।
নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের মধ্যে ক্ষমতায়ন বিন্যাসের জন্য এমনটা ভাবা হচ্ছে। সে হিসেবে সিটি মেয়র আবুল খায়ের তার মাত্র ৯ মাস কর্মকালীন সময়ে প্রশাসনের সাথে সম্পর্ক সু-দৃঢ়, প্রকল্পকাজের সব বন্টন, রাজনৈতিক প্রজ্ঞার প্রদর্শন, সুষ্ঠুভাবে পরিষদ পরিচালনা, অন্য সব দপ্তরের সাথে সমন্বয় সাধন, উন্নয়ন কাজের কঠিন মনিটরিং, অন্যসব সিটি প্রধানের সাথে সু-সম্পর্ক রাখা ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই দৃষ্টান্তকারী পদক্ষেপ রাখায় তাকে মন্ত্রি অথবা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেয়া হতে পারে। খুব শীঘ্রই এ মর্মে ঘোষনা আসছে বলে সূত্র জানায়।
সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রী মর্যাদায় আসীন হলে বিসিসির আয়তন বাড়ানোর ওয়াদাসহ অন্যান্য কার্য সম্পাদন করা হবে বলে জানা গেছে। এমনটা হলে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় আরো দুটো থানা প্রতিষ্টা করা হবে বলেও জানা গেছে। দক্ষিণের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর অপার ইচ্ছার বাস্তবায়নে এ পদক্ষেপগুলো নেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে বরিশাল সিটি মেয়র পদে মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। বরিশালে বর্তমানে ৩২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬৫টি রাস্তা ও ৫৪ কিলোমিটার ড্রেনের কাজ চলছে। দীর্ঘ ১১ বছর পর বরিশালকে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে পরিনত করতে মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ নিরলস প্রচেষ্টা সরকারের সব মহলের দৃষ্টি কেড়েছে। এরই পুরষ্কার আসছে তার ভাগ্যে।