নিউজ ডেস্ক :: ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
সাভারের আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একাডেমিক কার্যক্রম ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (৬ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর ব্যাপক সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন আহত হন। এর জেরে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ ৬ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত শুধু আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।বিশ্ববিদ্যালয়টির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আনোয়ার হাবীব সাংবাদিকদের জানান, সৃষ্ট পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্যাম্পাসটির সব একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান অন্তরকে ক্যাম্পাস থেকে ডেকে নিয়ে গত কয়েক দিন আগে হত্যার অভিযোগ উঠে আরেক শিক্ষার্থী রাহাত ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গত শুক্রবার রাতে সাভারের বিরুলিয়ার বাজার এলাকায় দেড় শতাধিক দোকান ভাঙচুর করে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা।
পরে এ ঘটনায় জানমালের নিরাপত্তায় রোববার বিকেলে আশুলিয়ার চাঁনগাঁও এলাকার স্থানীয় লোকজন আলোচনায় বসে। আলোচনার বিষয়টি শুনতে পেরে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে চাঁনগাঁও এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক দোকান ও কয়েকটি বাসাবাড়ি ভাঙচুর করে।
এ সময় একটি দোকান আগুন দিয়ে পুড়িয়েও দেয় শিক্ষার্থীরা। দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের খবর পেয়ে সাভার ও আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ এ সময় উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে বললেও এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এদিকে শিক্ষার্থীরা এখনো সাভারের বিরুলিয়া ও আশুলিয়া সড়কের ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির সামনে রাস্তায় টায়ার দিয়ে আগুন ধরিয়ে অবরোধ করে রেখেছেন।
এদিকে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’