
নিউজ ডেস্ক :: বাবাকে হ*ত্যার পর পালানোর সময় হার্ট অ্যা*টাকে পাষণ্ড ছেলের মৃ*ত্যু
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বাবা মকবুল হোসেন মোল্লাকে (৬৫) কুপিয়ে হত্যার পর পালানোর সময় হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন তার ছেলে রুবেল মোল্লা (৩৩)।
রোববার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার মুক্তারেরচর ইউনিয়নের চেরাগআলী বেপারী কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় মকবুল হোসেনকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে, ছেলে রুবেল বাবাকে হত্যার পর পালানোর সময় হার্ট অ্যাটাক করে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে তার মরদেহ মাঠে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নড়িয়া থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মালয়েশিয়া প্রবাসী রুবেল মোল্লার মা কয়েক বছর আগে মারা যান। এরপর তার বাবা মকবুল হোসেন দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকেই বাবা-ছেলের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয় এবং রুবেল আলাদা হয়ে বাবার বাড়ির পাশে নিজের জন্য একটি ঘর তৈরি করেন।
রুবেল তার বাড়ির আশপাশে বেশ কিছু গাছ লাগিয়েছিলেন। সম্প্রতি মকবুল ছেলের অনুমতি ছাড়াই তার কয়েকটি গাছ কেটে ফেলেন। এ বিষয়ে জানতে পেরে রুবেল বাবার বাড়িতে গিয়ে এর কারণ জানতে চান। একপর্যায়ে বাবা-ছেলের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এরই জেরে রুবেল দেশীয় তৈরি দা দিয়ে বাবার মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাড়ির পাশের ক্ষেতের মধ্যে পড়ে থাকা গাছের ডালের সঙ্গে তার সজোরে ধাক্কা খান। এতে তিনি মাটিতে পড়ে যান এবং সেখানেই হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান।
এদিকে, গুরুতর আহত মকবুলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে মুক্তারচর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নিউ মাইকেল বলেন, ‘রুবেলের মা মারা যাওয়ার পর তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকেই বাবা-ছেলের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। কিছুদিন আগে রুবেল মালয়েশিয়া থেকে ফেরেন। স্থানীয়দের কাছে শুনেছি, তার বাবা কয়েকটি গাছ কেটে ফেলেছিলেন। এতে রুবেল ক্ষুব্ধ হয়ে বাবাকে কোপায়। পরে পালানোর সময় সে ক্ষেতে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় এবং সম্ভবত হার্ট অ্যাটাকে মারা যায়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে ছেলে। পরবর্তীতে বাড়ির পাশে ছেলের মরদেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হৃদযন্ত্রের ক্রীড়া বন্ধ হয়ে ছেলে রুবেল মোল্লা মারা গিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত শেষে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।