
নিউজ ডেস্ক :: রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক এক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে দুজন রাজশাহীর বাসিন্দা ও আপন ভাই। তারা রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
দুই ভাই হলেন- রাজশাহীর বাসিন্দা সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব। এক সময় টিউশন করে নিজেদের খরচ চালালেও, রাজনীতিতে জড়িয়ে ছেড়ে দেন। এখন তারা ঢাকার একটি চাঞ্চল্যকর চাঁদাবাজি মামলার অন্যতম আসামি।
দুই ভাই ছাড়াও অন্য দুজন হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান। চারজনকেই সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। সংগঠন থেকেও তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানা গেছে, সিয়াম ও সাদাবের বাবার নাম এসএম কবিরুজ্জামান। তাদের আসল বাড়ি নাটোরের গোপালপুরে। এক দশক আগে তারা রাজশাহীতে বসবাস শুরু করেন। সিয়াম-সাদাবের বাবা এস এম কবিরুজ্জামান পেশায় একটি গ্যাস ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী। রাজশাহীর কেচুয়াতৈলের একটি গ্যাস স্টেশনে চাকরি করেন তিনি।
বাবা এস এম কবিরুজ্জামান বলেন, দুই ছেলে আগে টিউশনি করতেন। তবে কয়েক মাস আগে টিউশনি ছেড়ে দেন। তখন জানতে পারি, ছেলেরা রাজনীতি করছে। এরপরও তাদের নিয়মিত টাকা পাঠাই। রোববার সকালে শুনেছি, ছেলেরা চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিশ্বাসই করতে পারছি না। ওদের জীবনধারা একদম আলাদা। নামাজ পড়ে, দাঁড়ি রাখে। টাকার জন্য চাঁদাবাজি করবে, এটা মানা যায়? আমার দুই ছেলে ফেঁসে গেছে।
সিয়াম ও সাদাব দুই ভাই রাজশাহীর খড়খড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। এ স্কুলেরই শিক্ষক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী বলেন, ওরা তো খুব ভালো ছাত্র ছিল। গ্রেপ্তারের খবরে আমি বাকরুদ্ধ।