
নিউজ ডেস্ক :: শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা মডেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির হাছেন আলীর বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এ নোটিশ দেন হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম মিঞা।
এদিকে নোটিশ পাঠানোর দিনই উপজেলা জামায়াতের আমির পদ থেকে হাছেন আলীকে অব্যাহতি দিয়ে উপজেলা সেক্রেটারি রফিকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আবু তাহের অব্যাহতির বিষয়টি স্বীকার করলেও কারণ প্রসঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
কলেজটির সভাপতি ও ইউএনও শামীম মিঞা জানান, হাতীবান্ধা মডেল কলেজে হাছেন আলীসহ চারজন অধ্যক্ষ দাবি করে আসছেন। তবে বর্তমানে হাছেন আলী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে রয়েছেন। কলেজটি এমপিওভুক্ত হলেও জটিলতার কারণে এখনো শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন হয়নি। সম্প্রতি তিনি হাছেন আলীর বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়ম, শিক্ষক-কর্মচারীর তালিকা তৈরিতে অনিয়মসহ তার (ইউএনওর) স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই হাছেন আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, হাছেন আলী ইউএনও শামীম মিঞার স্বাক্ষর স্ক্যান করে ১৩টি নিয়োগ ফাইল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউএনও শামীম মিঞা বলেন, ‘আমি স্বাক্ষর করিনি, আমার স্বাক্ষর স্ক্যান করে ইনডেক্সের জন্য পাঠানো হয়েছে।’
তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর হাছেন আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জবাব পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাছেন আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।