ঢাকারবিবার , ৩ আগস্ট ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘পুলিশের সহযোগিতায়’ শিবির নে*তা হ*ত্যা, নে*তৃ*ত্বে নি*ষি*দ্ধ ছাত্রলীগের সাব্বির!

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
আগস্ট ৩, ২০২৫ ২:৩৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: গাইবান্ধার সাঘাটা থানার পাশের পুকুরে শিবির নেতা সিজু মিয়াকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার ৮ দিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি নতুন ভিডিও নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুকুরের পানিতে সিজুকে পিটিয়ে মারার দৃশ্যের ভিডিওটিতে একজন মহিলার কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে- ‘বাবা সাব্বির, হায়রে বাবা আর মারিস না বাবা, মরে যাবে।’

গত শুক্রবার রাত থেকে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় হত্যার ঘটনায় ওয়াপদা বাঁধের বাসিন্দা শাহিন মিয়ার ছেলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির রহমানের সংশ্লিষ্টতার সন্দেহ করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, ওই আসনের সাবেক এমপি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনের সঙ্গে এই সাব্বিরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। দলীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রিপনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ ছবিও পাওয়া গেছে। সাব্বির নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। তবে কোন পদে ছিলেন, তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। যে কোনো একটি ঘটনার সূত্রপাতের মাধ্যমে এলাকার পরিবেশ কীভাবে অশান্ত ও অস্থিতিশীল করে তোলা যায়, এ লক্ষ্যে সাব্বির ও তার সহযোগীরা পুলিশের সহায়তায় সিজুকে পুকুরের পানিতে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছেন এলাকার লোকজন। লাশ উদ্ধারের দিন থেকেই থানার গেটের সামনে সাব্বিরের বাবা শাহিন মিয়ার মুদির দোকান বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, ৮ দিন অতিবাহিত হলেও ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। রংপুর রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত টিম গত বৃহস্পতিবার তদন্ত শেষ করেছে। তদন্ত কমিটি গঠনের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের কথা রয়েছে।

২৫ জুলাই শুক্রবার পুকুরের কচুরিপানার ভেতর থেকে সিজুর লাশ উদ্ধার হওয়ার দিন একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। ৩০ জুলাই ঘটনা তদন্তে রংপুর রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন

এ বিষয়ে সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম জানান, এডিশনাল ডিআইজির নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত টিম তিনদিন ধরে টানা তদন্ত করে গেছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ২৫ জুলাই শুক্রবার পুকুরের কচুরিপানার ভেতর থেকে সিজুর লাশ উদ্ধার হওয়ার দিন একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। ৩০ জুলাই ঘটনা তদন্তে রংপুর রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন

এ বিষয়ে সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম জানান, এডিশনাল ডিআইজির নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত টিম তিনদিন ধরে টানা তদন্ত করে গেছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।