
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ৭নং বামরাইল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মিজান বয়াতী এবং তার সহযোগীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তির প্রত্যক্ষ মদদে এ সমস্ত অপকর্ম সংঘটিত হচ্ছে।
সূত্র জানায়, মিজান বয়াতী বিএনপির ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় অন্যের জমিতে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ, দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ নানা অনিয়মে জড়িত থাকায় গত ১ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু বহিষ্কারের পরও থেমে থাকেনি তার সন্ত্রাসী তৎপরতা।
অভিযোগ রয়েছে, মিজান বয়াতী ও কামরুল গ্রুপের জেলা কমান্ডার মোজাম্মেল হক – যিনি ৯০ দশকে এলাকায় চাঁদাবাজি, নারী ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের একাধিক মামলার আসামি – পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তাদের এই অপতৎপরতায় যোগ হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা ও প্রবাসী, কবির মৃধার নাম।
এলাকাবাসীর দাবি, কবির মৃধা আওয়ামী লীগের উপজেলা কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও নিজ প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় একাধিক জমি দখল ও নৈরাজ্যে লিপ্ত রয়েছেন। তার প্রত্যক্ষ ইশারায় ভাগিনা লোকমান ফকির ও অন্যান্য সহযোগী – ফেরদৌস, জহিরুল হক হাওলাদার, মিজান বয়াতী ও পলাশ খালিকা – একাধিক সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
গত ১৭ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখে বিকাল ৪টার দিকে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য এনামুল তাতির ছেলে ছালামকে অপহরণ করে কবির মৃধার বাড়িতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এ সময় এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে ছালামকে উদ্ধার করে। কিন্তু পরবর্তীতে উল্টো ছালামের বিরুদ্ধে কবির মৃধার বোন রুনু বেগম, তার ছেলে লোকমান ফকিরকে ‘জিম্মি’ দেখিয়ে আদালতে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
বর্তমানে কবির মৃধা ও তার বাহিনীর দাপটে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। নিরীহ এলাকাবাসী নিজেদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসীর দাবি, বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মিজান বয়াতী ও প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা কবির মৃধার যৌথ পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এ সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।