
নিউজ ডেস্ক :: আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বড় ছেলে ও সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ শামীম সাঈদী বলেছেন, ‘আমরা স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মিটিং মিছিল করা তো দূরের কথা জানাজার নামাজে কান্না করার সুযোগ পর্যন্ত পেতাম না। জামায়াতের নেতাকর্মীরা যদি কারও জানাজায় অংশগ্রহণ করত তাদের পোষ্য পুলিশ বাহিনী দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করাত। এখন আমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারছি।’
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেছারাবাদ উপজেলা শাখার আয়োজনে স্বরূপকাঠি পৌরসভা চত্বরে অনুষ্ঠিত গণজমায়েত ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম সাঈদী আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং মানবাধিকারের সব সীমা অতিক্রম করেছে। তাই জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণই তার উচিত জবাব দিয়ে দিয়েছে। নতুন বাংলাদেশে আমরা ইসলাম ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় লড়াই করে যাব ইনশাআল্লাহ।’
তিনি বলেন, ‘শেখ পরিবারের সবাই চোর-ডাকাত। শেখ মুজিবের ছেলে স্বাধীনতার যুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশে প্রথম ব্যাংক ডাকাতি করেছে। তার মেয়ে ১৪টি ব্যাংক ডাকাতি করেছে। সারা বাংলাদেশের রাস্তাঘাটের কাজ না করে বিল তুলে নিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছে। শুধু পিরোজপুরের রাস্তাঘাটের কাজ না করেই ছাব্বিশ শত কোটি টাকা চুরি করে নিয়েছে তারা। আমরা চোরদের বিপক্ষে। তাই জুলাইয়ের বিপ্লব ছিল বৈষম্যবিরোধী বিপ্লব। দুর্নীতিবিরোধী বিপ্লব।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু বলতে শব্দ নেই, পাসপোর্ট, ভিসা ও জাতীয় পরিচয়পত্রে এ ধরনের কিছু লেখা নেই। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ও মুসলমান একই সূত্রে গাঁথা। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমার বাবা আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ডিমের ভেতরে কুসুম যেভাবে নিয়ামত ছিল-সেভাবেই সব হিন্দুদের নিয়ামত হিসেবে নিরাপদভাবে আগলে রেখেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে যেমন সব হিন্দুদের বাড়িঘর আগলে রেখেছিলাম আগামীতেও তাদের মন্দির, জান-মাল, জমি, ঘর বাড়ি ও ছেলেমেয়েদের আগলে রাখব। আগামীতে যদি দাঁড়িপাল্লা মার্কাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেন তাহলে নেছারাবাদবাসীকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব।’
নেছারাবাদ উপজেলা আমির মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এ সময়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সিদ্দিকুল ইসলাম, আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মো. রফিকুল ইসলাম, নেছারাবাদ পৌর জামায়াতের আমির জহিরুল ইসলামসহ নেছারাবাদ ফোরামের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা।