
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল জেলার গৌরনদী টরকি বন্দর এলাকায় বাসিন্দা রেজাউল সিকদার এর ভাই-বোনের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মিথ্যা মামলায় একমাস জেল খাটলেন আপন ভাই।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর বড় ভাইয়ের দেয়া মিথ্যা চুরি মামলায় ১মাস জেল খেটেছেন গৌরনদী টরকি বন্দরের স্থানীয় ব্যবসায়ী রেজাউল সিকদার।
ভুক্তভোগী রেজাউল সিকদার অভিযোগ করে বলেন মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে থাকার কারণে আমার মৃত মায়ের মরা মুখ টাও দেখতে পারি নাই। আমার বর্তমানে পারিবারিক শত্রু চক্রটি এখনও তৎপর।
তিনি আরও বলেন আমার বোন তার whatsapp page এ আমায় লেখে আমি নাকি ভাই-বোনদের জায়গা- জমি বুঝিয়ে দেই না। তখন অমিও তার লেখার প্রতিবাদে কিছু লিখেছি।
প্রতিপক্ষ একটি মহল কৌশলে ঢাকায় বসবাসরত আমার পরিবারের ভাই -বোন ম্যানেজ করে আমাকে মিথ্যা একটি মামলা করে হয়রানি করতে মড়িয়া হয়ে উঠেছে।
মুলত আমার বাবার ওয়ারিশদের মধ্যে একবোন ছাড়া অন্য সবাই তাদের জমি অন্যথায় বিক্রি করে দিয়েছে। যাদের কাছে জমি বিক্রি করেছে, পর্যায়ক্রমে আমি সে জমি গুলো নিজে তাদের কাছ থেকে আবার ক্রয় করে নিয়েছি।
বাবার ওয়ারিশ বলতে এক বোনের সম্পত্তি টরকি বন্দরের আছে। ওই বোন ঢাকায় বসবাস করে তাকে বহুবার বলা হয়েছে তার জমি বুঝে নিতে। সে যখন আসবে তখনই তার জমি বুঝিয়ে দেবো। সে যখন ইচ্ছে আসুক তার জমি রক্ষিত থাকবে।
জমি নিয়ে সমস্যা বোনের সাথে তাহলে ভাই কেনো মামলা করলো! এই প্রশ্নের জবাবে রেজাউল জানায় আমার ভাই একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করতে গেলে সেখানে কিছু অসংগতি ছিল সেটার প্রতিবাদ করলে, তিনি কষ্ট পেয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে।
কিন্তু ভাইয়ের করা এহেন মিথ্যা মামলায় আমি নির্দোষ প্রমাণিত হবই। ইনশাআল্লাহ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নতুন দলের এক নেতার কাছে খোজ নিয়ে দেখা যায় রেজাউল সিকদারের ভাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা আনিচুর রহমান ২৪ এর ৫ আগস্ট এর পর নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের কাজ শুরু করেছে, সেখানে রেজাউল সিকদারকে একটি পদ দেন। পদ পেয়ে রেজাউল অফিস গোছাতে বেশ মোটা অংকের অর্থ ব্যয় সহ নিজের ব্যাবহারের জন্য টেবিল-চেয়ার,ল্যাপটপ সহ আনুসাংগিক আসবাবপত্র ক্রয় করেন। কিছু দিন যেতে না যেতেই ওই দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়। রেজাউল সিকদার তার পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। এবং তিনি তার অফিসে থাকা সকল জিনিসপত্র নিয়ে চলে আসেন। এটাই হয়তো কাল হয়েছে তার জন্য। শুনেছি ওই ঘটনা নিয়ে তার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করেছে আনিচ সাহেব।
এবিষয়ে জানতে রেজাউল সিকদারের বোন কে মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেনি।


