
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নানামুখী ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ রোগীরা। চিকিৎসক ও নার্সদের দায়িত্বহীনতা, যন্ত্রপাতি ব্যবহারে অনিয়ম, এবং বাহিরের প্যাথলজি টেস্টে রোগী পাঠানোর অভিযোগে সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ে রোগীদের না দেখে তাদের পার্সোনাল চেম্বার মুখী করার অভিযোগের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেবা নিতে আসা মানুষজন।
সরেজমিনে দেখা যায়, রোগীর চাপ থাকলেও অনেক চিকিৎসক নির্ধারিত সময়ে চেম্বারে উপস্থিত থাকেন না। রোগীদের কথা শোনার পর্যাপ্ত সময়ও দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালে সকল প্রকার পরীক্ষা—নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও নানা অজুহাতে রোগীদের বাইরে প্রাইভেট প্যাথলজি সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে, যেখানে খরচ সরকারি হাসপাতালের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতিদিন সরকারি নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই প্যাথলজি ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা আড্ডায় মেতে থাকেন, আর বাইরে অসুস্থ রোগীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পান না।
অপরদিকে এক ভুক্তভোগী নারী জানান, তার তিন বছরের শিশুর চিকিৎসার জন্য দুই দিন ধরে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে ঘুরছেন, কিন্তু কোনো চিকিৎসা পাননি।দুইদিন ধরে টিকিট কেটে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ রাসেল কে দেখানোর জন্য আসেন তিনি প্রথম দিন সকাল ১১.৩০মি টিকিট নিয়ে গেলে তার সিরিয়াল ৯০ জন হয়ে গেছে আর নেওয়া হবে না তার পর দিন সকাল ৯.৩০মি সেখানে গেলেও সেদিন ও তার ৯০ জন রুগী সিরিয়াল হয়ে গেছে আর নতুন করে আজকে নেওয়া হবে না বলেন জানান কর্তব্যরত নার্সরা জানান। তিনি অভিযোগ করেন, নার্সদের কাছে বারবার অনুরোধ করলেও তারা সাড়া দেননি, বরং দূর্ব্যবহার করেছেন। পরে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে বিষয়টি জানান এবং ছাত্রদের ও পুলিশের সহায়তা চান।তবে অভিযোগ আছে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের শিশু ডাক্তার রাসেল এর বিরুদ্ধে রোগীদের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়ে রোগীদের না দেখে তার পার্সোনাল চেম্বারে পাঠানোর অভিযোগ আছে।
এ সময় ওই নারীকে হেনস্তা করার অভিযোগও উঠেছে।অন্যদিকে, বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মলয় কৃষ্ণ বড়াল অভিযোগগুলো অস্বীকার করে সাফাই গাইলেন অভিযুক্তদের পক্ষে বললেন, আমাদের চিকিৎসক ও নার্সরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। কিছু ভুল বোঝাবুঝি বা সীমাবদ্ধতার কারণে সমস্যা হতে পারে, তবে ইচ্ছাকৃত অবহেলার প্রশ্নই আসে না।”
বরিশাল সিভিল সার্জন মোঃ মনজুর-ই-এলাহী বলেন আমি বিষয়টি অবগত হলাম খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নিব।
বরিশালের স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের উদ্যোগে শের—ই—বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিছু উন্নতি হলেও বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে।