
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভবন নির্মান করছে পুলিশ কর্মকর্তা ও তার পরিবার।
বরিশাল বিভাগের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের মুগাকাঠী গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখল করে ভবন নির্মান করছে এক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার পরিবার বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
থানা পুলিশ আদালতের নিষেধাজ্ঞার নোটিশ নিয়ে গেলে পুলিশের সামনে বাদী ও তার পরিবারদের প্রকাশ্যে হমকি দিচ্ছে আসামী, পুলিশের পরিবার।
মামলা ও স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, মুগাকাঠী গ্রামের একই বাড়ির আব্দুল খালেক হাওলাদার ও তার চাচাত ভাই মোঃ সুলতান হাওলাদারের সাথে বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধ চলমান রয়েছে।
গত ২৪ সালে এপ্রিল মাসে থানায় অভিযোগ দিলে, থানা পুলিশের মাধ্যমে দুই পক্ষ দয়ের মধ্যেই এলাকা বাসী আপস মিমাংসা করে দেয় । সালিসদের কথা অমান্য করে মোঃ সুলতান হাওলাদারের পুত্র মোঃ রুবেল হাওলাদার পুলিশে চাকরি করার কারনে এলাকা বাসীর মিমাংসাকে বিদ্যা আগুল দেখিয়ে ভবন নির্মানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০ অক্টোবর সোমবার বিকালে কাজ করতে নিষেধ করে আব্দুল খালেক হাওলাদার। খালেক হাওলাদার নিষেধ করার পরেও সুলতান হাওলাদার ভবনের কাজ শুরু করে।
খালেক হাওলাদার বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনা স্হানে না যাওয়ায় ২৩ অক্টোবর বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে, মোঃ সুলতান হাওলাদারের পুত্র পুলিশের এস আই মোঃ রুবেল হাওলাদার(৩১), সুলতান হাওলাদার(৬০),মোঃ জসিম হাওলাদার(২০),মোঃ জাকির হাওলাদার (২৫) নাম সহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জনকে আসামী করে আব্দুল খালেক হাওলাদার মামলা দায়ের করে। আদালতের বিচারক উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে আইন শৃংখলা বজায় ও উজিরপুর সহকারী ভুমি কর্মকর্তাক সরজমিনে তদন্ত করে আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রধান করেন। উজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আদালতের নির্দেশে থানার এ এস আই জাহিদকে পাঠান নোটিশ নিয়ে। বাদীর ছেলে মিলন হাওলাদার বলেন উজিরপুর মডেল থানা পুলিশের এ এস আই জাহিদ ২৫ অক্টোবর সকালে আদালতের নিষেধাজ্ঞার নোটিশ নিয়ে গেলে তার সামনে প্রকাশ্যে বাদীর পরিবারদের হত্যা করার হুমকি দিয়েছে, সুলতান হাওলাদার, জসিম হাওলাদার, সাগর হাওলাদার, সহ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ও নোটিসের পরেও ভবনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন সুলতান হাওলাদারের পুত্র সৌদি প্রবাসী জাকির হাওলাদার মোবাইলে হমকি দিয়েছে । নোটিশ কারী এ এস আই জাহিদ এর কাছে হুমকির ও ভবন নির্মানের ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার সামনে কথা কাটাকাটি হয়েছে কিন্তু হুমকি বিষয় আমি কিছু জানিনা ও নোটিশ দিয়েছি, নোটিশের পরেও ভবন নির্মানের কাজ করলে, এব্যপারে আদালতে আভিযোগ দায়ের করলে, আদালতের বিচারক থানায় প্রতিবেদন চাইলে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়া হবে। ভবন নির্মানের মিস্ত্রি এছাহাক মোল্লা সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন ছাদে ৫ ইঞ্চি বাড়তি সেন্টারিং করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সুলতান হাওলাদার এর সাথে আলাপ কালে কোন উত্তর দেয়নি। উজিরপুর মডেল থানার আফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছালাম জানান আমি আদালতের নির্দেশে পুলিশে কর্মরত এস আই রুবেলকে নোটিশ ও ফোন করে নিষেধ করে দিয়েছি কাজ বন্ধ রাখার জন্য ।


