
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের চরমোনাই এলাকায় মাহাবুব হাওলাদার নামের এক ব্যক্তিকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ও সামাজিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় তার নিজ মা বাদী হয়ে সম্প্রতি বরিশাল মহানগর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার নথি ও স্থানীয় সূত্রে পাওয়া তথ্যভিত্তিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে নানা অভিযোগ, যা বর্তমানে এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
পারিবারিক বিরোধ ও উত্তেজনা
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মাহাবুব হাওলাদারের নেশাগ্রস্ত আচরণ, আক্রমণাত্মক ব্যবহার এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল।
বড় ভাই, ছোট ভাই, মা ও ভাবীর সঙ্গে প্রায়ই তার বিরোধ সৃষ্টি হতো বলে পরিবারের দাবি।
স্থানীয় কিছু বাসিন্দার মতে, বিভিন্ন সময় তার আচরণে এলাকায় অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল করিমের সঙ্গেও মতবিরোধের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়,
যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মামলা–অভিযোগের পাল্টাপাল্টি চিত্র
পরিবারের অভিযোগ, সাম্প্রতিক সময়ে মাহাবুবের স্ত্রী ডালিয়া বেগম পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছেন।
এসব মামলার বিষয়ে পরিবারের দাবি—এগুলো মিথ্যা ও হয়রানিমূলক।
তবে এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের দায়িত্ব এখন তদন্ত সংস্থার।
২ নভেম্বরের একটি ঘটনায় মাহাবুব তার ভাই মামুনকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠে।
তিনি নিজের ভাইদের ফাঁসাতে তার স্ত্রীকে দিয়ে তার মা ও ভাইদের নামে একাধিক মিথ্যা মামলা করেন।
যা বর্তমানে চলমান। মাহাবুব পেশায় একজন মাদক সেবী ও অটো চালক ।
বর্তমানে মামলার খরচ চালাতে না পেরে ২ নভেস্বার তার ভাইকে মারধর করে,একপর্যায় লোকজন পরলে,স্ত্রী ডালিয়া বেগম মিথ্যা ধর্ষনের অভিযোগ করেন।
ঘটনাটি স্থানীয় সাংবাদিকদের নজরে এলে পুলিশকে জানালে, ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, সরজমিনে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ।
তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তার স্ত্রী এর আগে সমিতির টাকা আত্তসাধের উদ্দেশ্য সমিতির অফিসারকে মিথ্যা ধর্ষনের অভিযোগ দেয়।
এমন ঘটনা মাহাবুব ,ডালিয়া প্রায় সময় ই ঘটায়, নানা অজুহাতে।
তবে এ বিষয়ে পুলিশের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনো পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় পর্যায়ে প্রতারণা–অভিযোগ
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা দাবি করেছেন, মাহাবুব ও তার স্ত্রী সময়ে সময়ে ব্যক্তিগত বিরোধ, দেনা-পাওনা বা আর্থিক সুবিধা নেয়ার উদ্দেশ্যে অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে থাকেন।
এমনকি কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় শালিস বৈঠক ভেঙে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে অনেকে উল্লেখ করেছেন।
এলাকাবাসীর উদ্বেগ
নিরাপত্তাহীনতা ও বার বারের অভিযোগ–বিরোধের কারণে এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
তাদের মতে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সুষ্ঠু তদন্ত এবং আইনগত পদক্ষেপ জরুরি।


