ঢাকাবুধবার , ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশালে উদ্দীপন ক্লাব দখল ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, তদন্তের দাবি স্থানীয়দের

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫ ৯:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে উদ্দীপন ক্লাব দখল ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, তদন্তের দাবি স্থানীয়দের

সেক্রেটারি কে সামনে রেখে নামে বে নামে সম্পদের পাহাড় আওয়ামী দোসর ও উদ্দীপন ক্লাবের সাধারণ সদস্য তারেকুল ইসলাম তারেকের ।

 

বরিশাল সরকারি বি এম কলেজ প্রথম গেট সংলগ্ন তালভিটা গলির মুখে অবস্থিত উদ্দিপন ক্লাব টি ছিল সকলের জন্য উন্মুক্ত বিএনপি সরকারের মেয়াদ শেষে আওয়ামী লীগ সরকার গদিতে বসতে না বসতেই লুট পাট ও দখলে লিপ্ত হয়ে পরে দলটির নেতা কর্মিরা। তারই প্রেক্ষাপট ধরে নগরীতে একটি প্রভাবশালী মহলের গত ১৭ বছর ধরে বরিশালে উদ্দীপন ক্লাব দখল ও অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ,পাওয়া গেছে এনিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সামাজিক সংগঠন ‘উদ্দীপন ক্লাব’ দখল করে নেওয়া এবং সংগঠনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্লাবের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উদ্দীপন ক্লাবটি এলাকার ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। গত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের কয়েকজন ব্যক্তি জোরপূর্বক ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন ক্লাবের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা । এ সময় ক্লাবের তহবিল থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ অনিয়ম ও আত্মসাত করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।

ওই এলাকার স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,
“ক্লাবের ব্যাংক হিসাব ও নগদ অর্থের কোনো স্বচ্ছ হিসাব দেওয়া হচ্ছে না। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

স্থানীয় আরও কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ক্লাবটি এলাকার তরুণদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক কেন্দ্র ছিল। তা বিগত ১৭ বছরে দখল করে অর্থলোপাট করা ও দ্বন্দ্বের কারণে ক্লাব প্রাঙ্গণ প্রায় অচল হয়ে পড়েছিল। পরে পাঁচই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে নতুন করে আবার ক্লাবটিতে কমিটি গঠন করা হয়।
এবং পূর্বের হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বললে সেক্রেটারি ও ক্লাবের সাথে সংযুক্ত থাকা তারিকুল ইসলাম হিসেব বুঝিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়। এবং একটি ভুয়া একটা কাগজ তৈরি করে সেখানে তার মত করে বানানো হিসাব দেখিয়ে দেয়। যে হিসাব মিলানোর পরে। তারিকুলেট দেওয়া হিসাবের সাথে আকাশ পাতাল ডিফারেন্স রয়েছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারেকুল ইসলাম জানায় আমি সঠিক হিসাব দিয়ে দিয়েছি এবং এর দায়ভার আমি নিতে পারব না কারণ ওই ক্লাবের সাথে এখন আর আমার কোন সংযোগ নেই তবে ক্লাবের ব্যাংকের হিসাবের কথা জানতে চাইলে ওই বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি এবং এই তারিকুল ইসলামেরই রয়েছে নামে বেনামে অনেক সম্পদ সেই সম্পদের হিসেব বা আয়ের উৎসর কথা জিজ্ঞেস করলে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ক্লাবের ওই সদস্য তারিকুল ইসলাম।

এদিকে ওই ক্লাবের সাবেক সেক্রেটারি সরকারি বি,এম কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল ইমামুল হাকিম কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা যদিও কোন গরমিল করা হয়ে থাকে তবে সে বিষয়ে আমি অবগত নাই বলে দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।

এছাড়া বিগত দিনে ওই ক্লাবের সাথে সংশ্লিষ্ট আরও যারা রয়েছে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি তবে বিগত দিনে নতুন করে কমিটি দেওয়া হয়নি কেন বলে জিজ্ঞাসা করা হলে একজন আরেকজনের উপর দোষারোপ করে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান,
“এ ধরনের কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে, ক্লাবের সদস্যরা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ক্লাবের স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে।