ঢাকাশুক্রবার , ২৭ অক্টোবর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জুমার ইমাম ছাড়া অন্য কেউ জুমার খুতবা দিতে পারেন? জেনে নিন।

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
অক্টোবর ২৭, ২০২৩ ৬:২০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

ধর্ম ডেস্ক :: জুমার ইমাম ছাড়া অন্য কেউ জুমার খুতবা দিতে পারেন? জেনে নিন।

মসজিদে হারামে জুমার খুতবা দিচ্ছেন শেইখ উসামা খাইয়াত। ছবি: ইনসাইড দ্যা হারামাইন
জুমার দিন জুমার নামাজের পাশাপাশি জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে জুমার নামাজে উপস্থিত হলে, চুপ থেকে খুতবা শুনলে ও নামাজ আদায় করলে আল্লাহ তাআলা এক সপ্তাহের গুনাহ মাফ করে দেন। হাদিসে এসেছে,

مَنِ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَتَطَهَّرَ بِمَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ ثُمَّ ادَّهَنَ أَوْ مَسَّ مِنْ طِيبٍ ثُمَّ رَاحَ فَلَمْ يُفَرِّقْ بَيْنَ اثْنَيْنِ فَصَلَّى مَا كُتِبَ لَهُ ثُمَّ إِذَا خَرَجَ الإِمَامُ أَنْصَتَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الأُخْرَى

 

যে ব্যাক্তি জুমার দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, তেল মেখে নেয় অথবা সুগন্ধি ব্যবহার করে, তারপর মসজিদে যায়, মানুষকে ডিঙ্গিয়ে সামনে যাওয়া থেকে বিরত থাকে, তার ভাগ্যে নির্ধারিত পরিমাণ নামাজ আদায় করে, ইমাম যখন খুতবার জন্য বের হন তখন চুপ থাকে, তার এ জুমা এবং পরবর্তী জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ বুখারি: ৯১০)

কিছু হাদিসে এ সব আমলের জন্য সাত দিন এবং অতিরিক্ত আরও তিন দিন অর্থাৎ দশ দিনের গুনাহ মাফ হওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

 

জুমার নামাজ যিনি পড়াবেন, জুমার খুতবা তার দেওয়াই উত্তম। তবে এটা ওয়াজিব বা অপরিহার্য নয়। কোনো কারণে প্রয়োজন হলে নামাজের ইমামতি যিনি করবেন, জুমার খুতবা তিনি নাও দিতে পারেন। অন্য কাউকে খুতবা দেওয়ার দায়িত্ব দিতে পারেন। একইভাবে জুমার খুতবা দেওয়ার পর ইমাম নামাজ পড়াতে না পারলে খুতবায় উপস্থিত অন্য কেউ নামাজের ইমামতি।

জুমার খুতবা প্রাপ্তবয়স্ক ও যোগ্যদেরই দেওয়া উচিত। তবে কোনো কারণে বুঝমান অপ্রাপ্তবয়স্ক কেউ জুমার খুতবা দিলেও জুমা হয়ে যাবে। যদিও অপ্রাপ্তবয়স্কের ইমামতি শুদ্ধ নয়, অপ্রাপ্তবয়স্ক ইমামের পেছনে জুমার নামাজ হবে না।

 

জুমার দিন যে আমলে দশ দিনের গোনাহ মাফ হয়
মুসলমানদের জন্য জুমার দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। রাসুল (সা.) বলেছেন,

إِنَّ هَذَا يَوْمُ عِيدٍ جَعَلَهُ اللَّهُ لِلْمُسْلِمِينَ فَمَنْ جَاءَ إِلَى الْجُمُعَةِ فَلْيَغْتَسِلْ وَإِنْ كَانَ طِيبٌ فَلْيَمَسَّ مِنْهُ وَعَلَيْكُمْ بِالسِّوَاكِ
নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা: ৮৩)

 

জুমার দিন কিছু আমল করলে আল্লাহ তাআলা দশ দিনের পাপ ক্ষমা করে দেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

إِذَا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ فَاغْتَسَلَ الرّجُلُ، وَغَسَلَ رَأْسَهُ، ثُمّ تَطَيّبَ مِنْ أَطْيَبِ طِيبِهِ، وَلَبِسَ مِنْ صَالِحِ ثِيَابِهِ، ثُمّ خَرَجَ إِلَى الصّلَاةِ، وَلَمْ يُفَرِّقْ بَيْنَ اثْنَيْنِ، ثُمّ اسْتَمَعَ لِلْإِمَامِ، غُفِرَ لَهُ مِنَ الْجُمُعَةِ إِلَى الْجُمُعَةِ، وَزِيَادَةُ ثَلَاثَةِ أَيّامٍ.

 

জুমার দিন যে ব্যক্তি মাথা ধুয়ে গোসল করে, উত্তম আতর ব্যবহার করে এবং তার উত্তম পোশাক পরিধান করে, তারপর নামাজের উদ্দেশে বের হয়, মসজিদে গিয়ে কাতার ডিঙিয়ে সামনে যায় না, মনোযোগের সাথে ইমামের খুতবা শোনে, ওই ব্যক্তির এক জুমা থেকে আরেক জুমা এবং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের গোনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ ইবনে খুজায়মা: ১৪০৩)
এ হাদিস থেকে যে আমলগুলোর নির্দেশনা।