তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক :: বাংলাদেশের ৬৮ লাখ ভিডিও সরিয়েছে টিকটক।
টিকটক সম্প্রতি এর কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন ২০২৩) সময়ের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ভুল তথ্যের প্রচার রোধে এবং অনলাইনে নিরাপত্তা বজায় রাখতে টিকটকের অবস্থান প্রতিবেদনটিতে উঠে আসে।
কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের দায়ে টিকটক ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে মোট ১০ কোটি ৬৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩২টি ভিডিও সরিয়েছে। যা প্ল্যাটফর্মটিতে আপলোড করা সকল ভিডিওর প্রায় ০.৭ শতাংশ । এর মধ্যে, ৬ কোটি ৬৪ লাখ ৪০ হাজার ৭৭৫টি ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপসারণ করা হয়েছে।অন্যদিকে, ৬৭ লাখ ৫০ হাজার ২টি ভিডিও যাচাই-বাছাই করে প্ল্যাটফর্মে পুনরায় রাখা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে, ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের জন্য ৬৮ লাখ ৩৯ হাজার ১৩৪টি ভিডিও অপসারণ করেছে টিকটক।
২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে, বাংলাদেশে যেসব ভিডিও সরানো হয়েছে তার মধ্যে ৮৯.৮ শতাংশ ভিডিও সরানো হয়েছে কেউ দেখার আগেই। কেবল এক দিনের মধ্যে সরানো হয়েছে প্রায় ৯৪.৭ শতাংশ ভিডিও। এই প্রান্তিকে প্রতিরোধমূলক ভিডিও অপসারণের হার ছিল ৯৯.৪ শতাংশ। এছাড়া, ১৩ বছরের কম বয়সী প্ল্যাটফর্ম ইউজার হওয়ার সন্দেহে এবং তরুণদের নিরাপত্তার জন্য অ্যাকাউন্ট সরিয়েছে টিকটক। বিশ্বজুড়ে এমন ১ কোটি ৮৮ লাখ ২৩ হাজার ৪০টি অ্যাকাউন্ট সরানো হয়েছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে টিকটক জানিয়েছে, টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইনস সমস্ত ব্যবহারকারীর জন্য নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অকৃত্রিম অভিজ্ঞতা দিতে তৈরি করা হয়েছে। সকল প্ল্যাটফর্ম ইউজার এবং কনটেন্টের জন্য সমানভাবে এই নীতিমালা প্রযোজ্য। এই নীতিগুলো প্রয়োগের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা এবং ন্যায়সঙ্গতা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় থাকে প্ল্যাটফর্মটি।
টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন করে এমন কনটেন্ট শনাক্ত করতে, মূল্যায়ন করতে এবং এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সমন্বয় করা হয় উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও টিকটকের কর্মীদের। প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানো কনটেন্ট আর অ্যাকাউন্টগুলোর পরিমাণ এবং এর অভ্যন্তরীণ দিক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় প্রান্তিক কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্টটি থেকে। ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের সম্পূর্ণ রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে ভিজিট করতে পারেন টিকটকের ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার।