নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে নাম ঘোষণা কেন্দ্র করে শহিদ মিনারে সংঘর্ষ, আহত ৫
বরিশালের মুলাদী সরকারি কলেজ মাঠের শহিদ মিনারে ফুল দেওয়ার নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার দুপুরে তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন মুলাদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিজাম উদ্দীন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে রাত ১২টার আগেই উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন মুলাদী সরকারি কলেজ চত্বরের শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে জমায়েত হয়। রাত পৌনে ১২টার দিকে শহিদ মিনারে ফুল দেওয়ার নাম ঘোষণা শুরু হয়। এতে প্রথমে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ ও পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নাম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আগে আওয়ামী লীগের নাম ঘোষণা না করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রশাসনের লোকজনের সাথে তুমুল বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার গাড়িচালক নাসির উদ্দীনসহ পাঁচজন আহত হয়। আহতদের মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল বারী জানান, প্রতিবছর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানায়। কিন্তু এ বছর কেন আওয়ামী লীগের আগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নাম ঘোষণা হয়েছিল তা কারও জানা নেই। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, ফুল দেওয়ার তালিকা ঘোষণা করার পর পরই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তার গাড়িচালক নাসির উদ্দীনের মাথা ফেটে যায়। তাকে মুলাদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিজাম উদ্দীন জানান, ফুল দেওয়া নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির ফলে শহিদ মিনার চত্বরে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছিলো। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগকে আগে ফুল দেওয়ায় সুযোগ করায় বিষয়টি দ্রুত সমাধান হয়ে যায়। পরে ১২ টা ১ মিনিটে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়।