নিজস্ব প্রতিবেদক :: ঝালকাঠিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অফিসে থাকা ৯৫০ গাড়ির নথিপত্র গায়েব হয়ে গেছে। ফলে ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন ও রুট পারমিট নবায়ন করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন এসব গাড়ির মালিকরা। নথি গায়েবের কথা স্বীকার করে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে, এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
সড়কে চলাচলকারী যে কোনো যানবাহনের ফিটনেসসহ বিভিন্ন বিষয়ে বৈধ নথিপত্র প্রণয়ন ও সংরক্ষণ করে বিআরটিএ। তবে ঝালকাঠির বিআরটিএ কার্যালয় থেকে রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গেছে ৯৫০ গাড়ির মূল নথিপত্র। এসব গাড়ির মধ্যে রয়েছে ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল।
গাড়ির মালিকদের অভিযোগ, কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী এসব গাড়ির ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন ও রুট পারমিট ফিয়ের নবায়নের টাকা ব্যাংকে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে। আর তা আড়াল করতেই গায়েব করেছে সব নথি। ভুক্তভোগী এক গাড়ির মালিক বলেন, ‘আমি কোনো ফাইল পাই না। আর আমাকে কোনো তারিখও দেওয়া হচ্ছে না। ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার পরও আমাকে বারবার বলা হচ্ছে নতুন করে আবেদন করতে।’
আরেক ভুক্তভোগী জানান, কাগজের অভাবে গাড়ি চালানোও যাচ্ছে না, আবার বিক্রিও করা যাচ্ছে না। ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন, পরীক্ষাসহ প্রতি পদেই ভোগান্তিতে পড়তে হয় বলে অভিযোগ সেবাগ্রহীতাদের। নথি গায়েবের কথা স্বীকার করে ঝালকাঠি বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান জানান, এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিভাগীয় অফিস। গায়েব হওয়া নথিগুলো ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত।